ইচ্ছা প্রকাশ করেও গুমের দুই মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হওয়ার তিন দিন পর সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনার গুমের মামলায় আদালতে লড়বেন না। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ৬ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের এক ভিডিওবার্তায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
ভিডিওটিতে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘মাননীয় শেখ হাসিনারও এই আদালতের প্রতি আস্থা নেই এবং বিশেষ করে আমার বন্ধু, সহযোদ্ধা, সহকর্মী এবং রাজনৈতিকভাবে আমরা পরস্পর স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই জড়িত, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে এই আদালত একটি আদালত অবমাননার মামলার আনয়ন করেছে।’
আইনজীবী জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ফজলুর রহমানকে আমি ডিফেন্ড করব। সো এ কারণে এবং যে আদালতের প্রতি বঙ্গবন্ধুকন্যার আস্থা নেই, সেই আদালতে তো তাঁকে ডিফেন্ড করতে পারি না। উচিত না, অনৈতিক। ফরমালি যদিও আমি অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাইনি, পেলে পরে তাঁকে ফরমালি জানাব আর না পেলে পরে এখান থেকে আমি জানিয়ে দিলাম, আমি আদালতে অন্তত বঙ্গবন্ধুকন্যার পক্ষে বা তাঁকে ডিফেন্ড করার জন্য দাঁড়াব না, যা হবার হবে। দেখা যাবে।’
এর আগে, ২৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই নিয়োগ দেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য হলেন বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।