সার কারখানাগুলোতে গ্যাসের দাম ৮৩ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি ঘনমিটার ২৯ টাকা ২৫ পয়সা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন এই দর আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
সার শ্রেণিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যহার পুনর্নির্ধারণ করে আজ রোববার এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিইআরসি। এত দিন সার কারখানায় গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের সমন্বিত মূল্য ছিল ১৬ টাকা।
নতুন করে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ২৯ টাকা ২৫ পয়সা নির্ধারণ করায় এর দাম ৮২ দশমিক ৮১ শতাংশ বাড়ল। তিতাস গ্যাস, বাখরাবাদ, জালালাবাদ ও কর্ণফুলী বিতরণ সংস্থার সব সার কারখানায় গ্রাহক পর্যায়ে নতুন এই দর কার্যকর হবে।
বিতরণ সংস্থাগুলোর আবেদনের পর সার কারখানাগুলোতে গ্যাসের নতুন দর নির্ধারণে এর আগে গণশুনানি করে পেট্রোবাংলা। গণশুনানির তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর গণশুনানিতে পেট্রোবাংলা ও গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কমিশনের কারিগরি কমিটি এর দাম ৩০ টাকা করার পক্ষে মত দেয়।
পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, দাম বাড়ানো হলে বাড়তি সাত কার্গো এলএনজি আমদানি করে সার কারখানায় সরবরাহ করা হবে।
গ্যাসের দাম বাড়ায় সারের দাম বাড়বে। বর্তমানে ইউরিয়া সারের উৎপাদন খরচ পড়ছে কেজিতে ৩৮ টাকার মতো। আর বাজারে ২৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে প্রতি কেজিতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ১৩ টাকা।