হোম > জাতীয়

প্রতি বছর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে ৩.৮ থেকে ৫.৮ মিলিমিটার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গত ৩০ বছরে বাংলাদেশের সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা একই হারে বাড়ছে। প্রতি বছর ৩ দশমিক ৮ থেকে ৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার হারে বাড়ছে। অর্থাৎ, ৩০ বছরে উপকূলীয় অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১১৪ থেকে ১৭৪ মিলিমিটার (৪ দশমিক ৪৯ থেকে ৬ দশমিক ৮৫ ইঞ্চি) বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত পরিবেশ অধিদপ্তরের এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও ঝুঁকি নিরূপণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) সহায়তায় পরিবেশ অধিদপ্তর ‘প্রজেকশন অব সি লেভেল রাইজ অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট অব ইটস সেক্টরাল (এগ্রিকালচার, ওয়াটার অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার) ইম্প্যাক্টস’ শীর্ষক একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। স্যাটেলাইট আলটিমেট্রি ডেটা ব্যবহার করে করা এই গবেষণার খসড়া এরই মধ্যে হাতে এসেছে। 

গবেষণায় দেখা যায়, গত ৩০ বছরে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতি বছর প্রায় ৩ দশমিক ৮ থেকে ৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার হারে বাড়ছে। গবেষণার মাধ্যমে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির পরিমাপ ও কৃষি, পানি ও অবকাঠামো খাতে কী প্রভাব পড়বে তা নিরূপণ করা হচ্ছে, যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে সহায়ক হবে।

উপকূলীয় অঞ্চলের সঙ্গে সঙ্গে অভ্যন্তরীণ অঞ্চল; যেমন, গোপালগঞ্জ অঞ্চলেও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাব পড়বে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এ লক্ষ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ অন্য সংস্থাগুলোকে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। সম্পূর্ণ গবেষণাটি চলতি বছরের জুনের মধ্যে শেষ হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে খসড়া প্রতিবেদনে। 

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বৈঠককে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার অংশ হিসেবে দেশের উত্তরাঞ্চলে বজ্রপাত রোধে বন অধিদপ্তরের চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ৮৭ হাজার ৭৭৩টি তালের চারা রোপণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উপকূলীয় জনগোষ্ঠীকে ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা, সমুদ্র ও নদী মোহনায় গজিয়ে ওঠা চর স্থায়ীকরণের জন্য ১৯৬৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮৩০ হেক্টর উপকূলীয় বনায়ন সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে ৪৫ হাজার ৩৭৫ হেক্টর ভূমি জনগণের বসবাস ও চাষাবাদের উপযোগী হওয়ায় ভূমি মন্ত্রণালয়কে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। 

সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে কমিটি বালু মহাল ও জলমহালের সীমানা এবং মালিকানা নির্ধারণ, বালু উত্তোলন ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে ভূমি, পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্রুত সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়। 

সরকারি কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়ন বিচারে সম্ভাব্য অধিকতর সঠিক পদ্ধতি নির্ধারণ করে সরকারের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আধুনিকায়ন ও ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে জাতীয় জীবনে সফলতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে মাঠপর্যায়ে বাস্তবসম্মতভাবে জমির মৌজা রেট নির্ধারণ করা এবং মৌজা রেট নির্ধারণে বর্তমান কমিটিকে পুনর্গঠনের সুপারিশ করা হয়। 

কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে কমিটি সদস্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আ স ম ফিরোজ, হাফিজ আহমদ মজুমদার, পনির উদ্দিন আহমেদ, ফেরদৌসী ইসলাম ও মোকাব্বির খান বৈঠকে অংশ নেন।

সাংবাদিক আনিস আলমগীরের মুক্তি চায় অ্যামনেস্টি

জিয়াউলের বিরুদ্ধে শতাধিক ব্যক্তিকে গুম-খুনের অভিযোগ আমলে নিলেন ট্রাইব্যুনাল

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

৮ ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে অর্ধশতকোটি টাকা লুট

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি

সৌদি আরবে বিনা অনুমতিতে রাজনৈতিক সভা করায় কয়েকজন বাংলাদেশি আটক, সতর্ক করল দূতাবাস

নিজের বিচার সরাসরি সম্প্রচার চান হাসানুল হক ইনু

২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে অমর একুশে বইমেলা

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে ভারতের ‘নসিহত’ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা