ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৬১ জন আসামিকে ‘পলাতক’ দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুটি জাতীয় দৈনিকে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
আজ বিকেলে সিআইডির মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডি জানিয়েছে, ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের এই মামলা করা হয়।
সিআইডির ব্যাখ্যা অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলাম ২৬১ জন আসামিকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন। মামলাটি করা হয় গত ২৭ মার্চ। বাদী ছিলেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক।
এরপর গত ৩০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। ১৪ আগস্ট আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে ১১ সেপ্টেম্বর আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাব্বী আলমের নেতৃত্বে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর একটি জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে কয়েক শ নেতা-কর্মী অংশ নেন। ওই মিটিংয়ে শেখ হাসিনা বক্তব্য দেন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
সিআইডির অভিযোগ অনুযায়ী, তাঁর ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা ও উসকানিমূলক কার্যক্রমে পরিণত হয়।
এ মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন খুলনার যুবলীগ নেতা পারভেজ খান ইমন, চট্টগ্রামের জয় বাংলা ব্রিগেডের প্রধান কবিরুল ইসলাম আকাশ, বরিশাল বিভাগের অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সোহানা পারভীন রুনা, হাফিজুর রহমান ইকবাল, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মধু, এলাহী নেওয়াজ মাছুম, সাজ্জাদুল আনামসহ অনেকে।
মামলায় এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য ২৬১ জনকে পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।