দেশের সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দপ্তরে দুর্নীতি কমাতে ‘হুইসেল ব্লোয়িং সিস্টেম’ জোরদার করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিন মামলার রায় দেওয়ার সময় এ কথা বলেন বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বিচারক বলেন, ‘দেশের সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দপ্তরে দুর্নীতি আজ রন্ধ্রে রন্ধ্রে। আর এই দুর্নীতি কমাতে ‘হুইসেল ব্লোয়িং সিস্টেম’ জোরদার করা উচিত।’
বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, ‘হুইসেল ব্লোয়ার’ হলেন এমন একজন ব্যক্তি, সাধারণত একজন কর্মচারী, যিনি নিজের সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেকার অন্যায়, অবৈধ, অনৈতিক, বেআইনি, অনিরাপদ বা প্রতারণামূলক কাজ সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেন। এই তথ্য প্রকাশকে হুইসেল ব্লোয়িং বলা হয়।
আদালত বলেন, জনস্বার্থ রক্ষার্থে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তথ্য প্রকাশ করে থাকেন হুইসেল ব্লোয়াররা। অবৈধ, অনৈতিক, বেআইনি, অনিরাপদ বা প্রতারণামূলক কোনো কাজের তথ্য।
আদালত আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে হুইসেল ব্লোয়ার রয়েছে। আমাদের দেশেও হুইসেল ব্লোয়িংকে উৎসাহিত করা প্রয়োজন। হুইসেল ব্লোয়াররা যার যার প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অথবা জনস্বার্থে গণমাধ্যমকে তথ্য দিতে পারেন। আর এই তথ্য দেওয়া অপরাধ নয় বরং দেশের জন্য মঙ্গলজনক।
হুইসেল ব্লোয়ারদের আইনি সুরক্ষা দেওয়া উচিত বলে মনে করেন আদালত।
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে আজ তিন মামলায় রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। তিন মামলায় শেখ হাসিনাকে ২১ বছর কারাদণ্ড এবং তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্য আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং একজনকে খালাস দেওয়া হয়। যাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাদের প্রত্যেককে বিভিন্ন অংকের জরিমানাও করা হয়।