সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক উপ-প্রেস সচিব মুহাম্মদ আশরাফুল আলম খোকন ও তাঁর স্ত্রী রেজওয়ানা নূরের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ পৃথক পৃথক এ নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক তিনটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
আয়কর নথি জব্দ করার নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ।
আ ক ম মোজাম্মেল হকের আবেদনে বলা হয়, মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রাখা এবং তাঁর নামীয় চারটি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক অর্থ লেনদেন করে তা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তর করার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মোজাম্মেল হকের আয়কর নথি পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।
খোকন দম্পতির আবেদনে বলা হয়, আশরাফুল আলম খোকনের বিরুদ্ধে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক নিজ নামে-বেনামে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখা এবং তাঁর নামীয় তিনটি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজন অর্থ লেনদেন করে তা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তর করার অভিযোগের তদন্ত চলছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি আশরাফুল আলম খোকন ও তাঁর স্ত্রী রেজওয়ানা নূরের আয়কর নথি পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।
এমতাবস্থায় মোজাম্মেল হক, আশরাফুল আলম খোকন ও তাঁর স্ত্রীর আয়কর নথির শুরু থেকে ২০২৪-২৫ করবর্ষ পর্যন্ত আয়কর নথির স্থায়ী অংশ, বিবিধ অংশ, অ্যাসেসমেন্ট প্রতিবেদন (যদি থাকে), নোট শিটসহ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় রেকর্ডপত্র বা তথ্যাদি এবং অফিস আদেশের অংশ পর্যালোচনাপূর্বক সাক্ষ্য-স্মারক প্রদানের লক্ষ্যে সত্যায়িত ফটোকপি (এক সেট) এবং মামলার আলামত হিসেবে জব্দকরণের লক্ষ্যে আদেশ দিতে প্রার্থনা করা হয়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর এবং আশরাফুল আলম খোকন ও তার স্ত্রী রেজওয়ানা নূরের বিরুদ্ধে গত ২৭ মার্চ পৃথক দুটি মামলা করে দুদক।