আগামী সংসদ হবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। উচ্চকক্ষে সদস্যসংখ্যা হবে ১০০ জন এবং তাঁরা নির্বাচিত হবেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে (পিআর পদ্ধতি)—এ বিষয়টি নির্ধারিত হবে গণভোটে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই আদেশে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধান গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে সনদের সংবিধানবিষয়ক সংস্কার প্রস্তাবণার ওপর গণভোট অনুষ্ঠান এবং পরবর্তী সময়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা সকল বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের মতো গণভোটও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না। নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে।’
গণভোটের চারটি প্রশ্নের মধ্যে একটি উচ্চকক্ষ-সংক্রান্ত। প্রশ্নটি হবে সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।
এ বিষয়ে হ্যাঁ/না ভোট দেবেন নাগরিকেরা।