সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগে যৌন সহিংসতা বেড়েছে। কিশোর-তরুণেরা এ ধরনের ভয়াবহ অপরাধে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা ও আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। বিচারহীনতা বা বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণে অপরাধীরা হয়ে উঠেছে আরও বেপরোয়া। এতে ঘটনার সংখ্যা ও ভয়াবহতা ক্রমশ বাড়ছে।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সেখানে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা।
তিনি দেশের ১৫টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন।
রেখা সাহা জানান, চলতি বছরে ২ হাজার ৪৬৮ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা ও আত্মহত্যার ঘটনাই ঘটেছে ৭১৩টি। এ ছাড়া যৌতুক, পারিবারিক নির্যাতন, হত্যা, বাল্যবিবাহ, যৌন নিপীড়ন, অপহরণ, সাইবার সহিংসতার মতো নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নারী ও কন্যাশিশুরা।
এ বছর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে ‘সাইবার সহিংসতাসহ নারী ও কন্যার প্রতি সকল প্রকার নির্যাতনকে না বলুন, নারী ও কন্যার অগ্রসরমাণতা নিশ্চিত করুন’ স্লোগান নিয়ে ১৬ দিনের কর্মসূচি পালন করছে মহিলা পরিষদ।