নাবিল গ্রুপের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী ইসরাত জাহান ও তাঁদের চার প্রতিষ্ঠানের ১৭৮ বিঘা জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব সম্পদ রাজশাহীর পবা থানাধীন তেকাটাপাড়া গ্রামের। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দিয়েছেন।
দুদকের উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমান এসব সম্পদ ক্রোক চেয়ে আবেদন করেন।
ক্রোক হওয়া সম্পদের মধ্যে আমিনুল ইসলামের ১৩২ বিঘা, তাঁর স্ত্রী ইসরাত জাহানের ২৩ বিঘা, নাবিল ফার্মা লিমিটেডের ১৩ বিঘা, আনোয়ার ফিড মিলস লিমিটেডের প্রায় ১ বিঘা, নাবিল গ্রেট হোমস লিমিটেডের প্রায় ৯ বিঘা, নাবিল নাবা ফুডসের ৮ শতক জমি রয়েছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, অভিযোগসংশ্লিষ্ট নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ও সম্পর্কযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে জালিয়াতি, প্রতারণা ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধান পর্যায়ে প্রাপ্ততথ্যে অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কিছু স্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। স্থাবর সম্পদসমূহ যেকোনোভাবে বিক্রয় বা হস্তান্তর হয়ে যেতে পারে। মানি লন্ডারিং অপরাধে অনুসন্ধানের শেষ পর্যন্ত ওই সম্পদের কোনোরূপ হস্তান্তর, রূপান্তর বা স্থানান্তর বন্ধ করা প্রয়োজন। নতুবা অনুসন্ধানপরবর্তী আইনি কার্যধারা গ্রহণসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অপরাধলব্ধ অর্থ পুনরুদ্ধারে বাধাগ্রস্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নাবিল গ্রুপের ১২৩টি ব্যাংক হিসাব ও ৯ মার্চ ৭৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেন একই আদালত।