অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মাসুদসহ ২০ জনের নামে আরও একটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ সীমা লংঘন করে একটি রেষ্টুরেন্টের নামে প্রায় শত কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়।
গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রামে দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১-এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মাসুদের সহযোগীতায় ‘লা এরিস্ট্রোক্রেসি’ রেস্টুরেন্টের মালিক নাজমে নওরোজ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ৭৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ঋণের মাধ্যমে নিয়ে তা আত্মাসাৎ করেন।
দুদক জানায়, নাজমে নওরোজকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার কম নির্ধারিত ঋণসীমার বাইরে অতিরিক্ত অর্থায়ন করে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। দেড় কোটি টাকার ঋণসীমার বিপরীতে তাকে দেওয়া হয় ৭৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ঋণ। ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮০ কোটি টাকা। ১৫২টি ডিলের মাধ্যেম তিনি ব্যাংক থেকে এই ঋণ গ্রহণ করেন।
দুদক জানায়, ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে উত্তোলনকৃত এই অর্থ নাজমে নওরোজ নগদে তুলে ১১টি প্রতিষ্ঠান এবং ৩ জন ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেন। তদন্তে উঠে আসা এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
সাইফুল আলম ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন— ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী, সাইফুল আলমের ব্যক্তিগত সহকারী আকিজ উদ্দীন, চট্টগ্রামের ‘লা এরিস্টোক্রেসি’ রেস্টুরেন্টের মালিক নাজমে নওরোজ এবং ব্যাংকটির কাজির দেউড়ি শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক নাজমা মালেক ও হুমায়রা সাঈদা খানম।
এছাড়া, জেড আর জে সার্ভে কোম্পানির মালিক শফিকুল করিম, মিশকাত ট্রেড সেন্টারের মিশকাত আহমেদ, ব্যবসায়ী মো. আরিফ হাসনাইন, নুর ট্রেডার্সের জসিম উদ্দিন, মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের জুয়েল মিয়া, রিমঝিম শাড়ি হাউজের জয়েল মিয়া, আগমন এন্টারপ্রাইজের এরসাদ সিকদার, এম এইচ এন্টারপ্রাইজের মনিরুল হক, নিউ বসুন্ধরা জুয়েলার্সের যিশু বণিক, আল মদিনা স্টিলের মো. আলমগীর এবং মেরিন ফিশের মাহবুবুল হক।