রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রে জটিল সংক্রমণের কারণে তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। এ অবস্থায় শুক্রবার রাত থেকে হাসপাতালের সামনে দলে দলে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা–কর্মীরা।
রাত সোয়া ১১টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান হাসপাতালে এসে পৌঁছান। তাঁর পরপরই আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার গাড়ি এভারকেয়ারের প্রবেশমুখে থামতে দেখা যায়। হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের মুখে ছিল গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার ছাপ।
দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞসহ গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনেই চলছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা। দুপুরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, চিকিৎসকদের মূল্যায়নে তাঁর অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটময়’। বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে তাঁর সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারকে এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠান। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেখানে ছিলেন।
প্রায় ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থরাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনির জটিলতাসহ একাধিক দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন। গত রোববার হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসে জটিল সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া গত ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যান এবং সেখানে ১১৭ দিন অবস্থানের পর গত ৬ মে দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার পর থেকে শারীরিক নানা জটিলতায় তাঁকে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।