পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিনজন পাহাড়ি নিহত ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ কয়েকজন আহতের ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে শোক জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিনজন পাহাড়ি নিহত এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজরসহ ১৩ জন সদস্য, গুইমারা থানার ওসি, তিনজন পুলিশ সদস্যসহ অনেকে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গভীর দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ মর্মে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অতি শিগগির তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেওয়া হবে না। ততক্ষণ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধারণপূর্বক শান্ত থাকার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শায়ন শীল (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভুক্তভোগীর বাবা সদর থানায় মামলা করেছেন।
ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতার’ ডাকে গতকাল শনিবার সকাল থেকে খাগড়াছড়ি জেলায় সড়ক অবরোধ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গতকাল দুপুরে গুইমারা ও খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
এদিকে ১৪৪ ধারা বহাল থাকলেও আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে অবরোধকারীরা বিক্ষোভে নামেন। অবরোধকারীরা উপজেলার খাদ্যগুদামের সামনে জড়ো হয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় দোকানপাটে অগ্নিসংযোগও করা হয়। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সশস্ত্র হামলা চালান। এতে সেনাসদস্য, পুলিশ, সাংবাদিকসহ অর্ধশত মানুষ আহত হন। পরিস্থিতি বর্তমানে থমথমে রয়েছে।