ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গাড়িবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে, সেগুলো ‘বিশ্বাসের কোনো কারণ’ নেই বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যাই কিছু ঘটুক না কেন, (ভারতীয়) মিডিয়া আমাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করবেই। কিন্তু কোনো কারণ নাই এটা বিশ্বাস করার, কোনো সেন্সিবল লোক তো এটা বিশ্বাস করবে না। কাজেই এটা নিয়ে আমরা বদার্ড না।’
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৩ জন নিহত হন। ভারতীয় সরকার একে ‘নাশকতা’ বললেও কে বা কারা এর জন্য দায়ী, তা নিশ্চিত করেনি। এবিষয়ে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) ঘটনার তদন্ত করছে। এখন পর্যন্ত হামলার দায়ও কেউ স্বীকার করেনি।
তবে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই তৈয়বাকে দায়ী করা হচ্ছে এই হামলার জন্য। সেই সঙ্গে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে এই গোষ্ঠী ভারতে হামলা চালাচ্ছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেল চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের জাতিসংঘে চিঠি পাঠানোর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে কেউ জাতিসংঘে যেকোনো কিছু নিয়ে আবেদন করতে পারে। ‘জাতিসংঘ যদি বাংলাদেশকে কিছু বলে, তখন আমরা দেখব। জাতিসংঘ আমাদের কিছু বলেনি।’
মার্কিন সিনেটে কণ্ঠভোটে পাস হওয়া ‘থিঙ্ক টোয়াইস অ্যাক্ট’ নিয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ভারসাম্যের নীতি বজায় রেখেছে এবং রাখবে। চীন থেকে অস্ত্র কিনলে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে, এমন সম্ভাবনা নেই।
বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা খাতে চীনের আধিপত্য রোধ করতে থিঙ্ক টোয়াইস অ্যাক্ট-২০২৫ নামে নতুন একটি আইন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়েছে, কোনো দেশ চীন থেকে সমরাস্ত্র কিনলে ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞাসহ অর্থনৈতিক বিধিনিষেধে পড়তে হবে।