জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেছেন, ‘আমরা অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করেছি, তারা সেটার জবাব দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। একাধিক কমিটি করব, সেখানে বিভিন্ন সংস্থার লোক থাকবে, আমাদের টেকনিক্যাল লোক থাকবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে না জানিয়ে সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন করবে।’
আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য যাচাই সেবা নেওয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিজি এনআইডি বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলতা, যারা তৈরি করেছে, তাদের দুর্বলতা, সেবাগ্রহীতাদের অনিয়মের কারণে তথ্য চুরি হয়েছে। অনেক সেবা গ্রহণকারী নাগরিকের তথ্য এমনভাবে উন্মুক্ত করেছে, যাতে সবাই সেটা নিতে পারে, এটা খুবই অনভিপ্রেত। তথ্যভান্ডারকে নিরাপদ করতে হবে।
অভিযুক্ত পাঁচ প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ইউসিবি ব্যাংকের উপায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর শোকজের জবাবের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তথ্য পাচারের ঘটনা ইচ্ছাকৃত কি না।
এদিকে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের হাতে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন ১৭ জনের হাতে স্মার্ট কার্ড ও বয়স কম হওয়ার কারণে ৩ জনের হাতে লেমিনেটেড এনআইডি তুলে দেন ডিজি এনআইডি।
জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আহত যাঁরা এখনো স্মার্ট কার্ড পাননি, তাঁদের নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করতে বলেন ডিজি এনআইডি।
এর আগে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ২৪ জনকে স্মার্ট কার্ড দিয়েছে ইসি।