হোম > জাতীয়

শেখ হাসিনার রায় ঘিরে দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎

বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমির সামনে রোববার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের অবস্থান। ছবি: ফোকাস বাংলা

‎জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল সোমবার।

এই রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঢাকা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুরে সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়, প্রবেশপথ, অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন-কেপিআই) ও সংবেদনশীল স্থানে তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে।

‎ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। সাইবার ইউনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে নজরদারি করছে। কোনো ধরনের নাশকতামূলক কাজ যেন না ঘটে, তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত টহল কার্যক্রম চলছে।

শেখ হাসিনার ‎রায়কে ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাজধানীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পেজ, গ্রুপ ও ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে দলটির সমর্থকেরা ছড়াচ্ছে গুজব, উসকানি ও সংঘবদ্ধ হওয়ার বার্তা।

তাঁদের মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আশপাশে আগামীকাল কয়েক স্তরের নিরাপত্তাবলয় বসানো হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। এরই মধ্যে কেপিআইসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ পোশাকধারী ও সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। এ ছাড়া সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আগাম তথ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রায়কে ঘিরে এরই মধ্যে ‎দেশের কয়েক জেলায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত পিরোজপুর, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুরসহ অন্তত চার জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগ। এসব জায়গায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। পিরোজপুরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ, কিশোরগঞ্জে জিয়া পরিষদ ও ফরিদপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

‎এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর হাতিরঝিল, মিরপুর, আগারগাঁও ও বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকায় দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

গত ছয় দিনে এই ধরনের ঘটনায় পুড়েছে প্রায় ৩০টি যানবাহন।

রেলপথ, ইঞ্জিনসহ সম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকার আহ্বান

৪ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়ছে না: ইসি সচিব

পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন সাড়ে ৯ লাখ ছাড়াল

যত বড় অপরাধীই হোক, পিটিয়ে মারা গ্রহণযোগ্য নয়: ধর্ম উপদেষ্টা

প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কুয়াশায় গাড়ি চালানো নিরাপদ করতে বিআরটিএর নির্দেশনা

‎সীমান্ত দিয়ে সন্ত্রাসীরা যেন পালাতে না পারে, সতর্ক থাকার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায় বিআইডব্লিউটিসি

গণভোটের প্রচার: পরিবর্তনের চাবি আপনারই হাতে