হোম > জাতীয়

বিচার সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার পর প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। ছবি: ফোকাস বাংলা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচার সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই বিচার সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয়েছে। কোনো কর্নার থেকে ইভেন স্টেট ডিফেন্স লইয়ার থেকেও এই বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে—এমন অভিযোগ কেউ কখনো করেনি, করতে পারবেও না। গোটা দুনিয়ার সামনে এই বিচার হয়েছে, আপনারা সাক্ষী ছিলেন, আমরা কখনো কখনো এগুলো লাইভ টেলিকাস্ট করেছি। পৃথিবীর সবার কাছে আমাদের ওপেন চ্যালেঞ্জ—এই বিচারপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ ছিল, নিরপেক্ষ ছিল, প্রত্যেকেই আইন অনুযায়ী কাজ করেছেন এবং এইখানে যে কোয়ালিটির এভিডেন্স দাখিল করা হয়েছে, আমরা আবারও চ্যালেঞ্জ করছি, দুনিয়ার যে প্রান্তে খুশি সেখানে যান, যেকোনো আদালতে এভিডেন্স দিয়ে হাজির করেন এই অপরাধীদের, একই ধরনের শাস্তি হবে।’

তাজুল ইসলাম জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের অনুকূলে ন্যস্ত করা হবে এবং সেখান থেকে রাষ্ট্র সব শহীদ ও আহত পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেবে, এটা হচ্ছে ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে আদেশ।

এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যেকোনো আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে যদি আপিল করতে হয়, যেমন, আমাদের এই মামলায় এই সাজার বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে আসামিরা চাইলে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারবেন। কিন্তু সেই আপিল পলাতকেরা কেউ করতে পারবেন না। কারণ, পলাতক ব্যক্তির আইনগত কোনো অধিকার থাকে না। আপিল করতে হলে তাঁকে অবশ্যই এসে বাংলাদেশে আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং জেলে গিয়ে তিনি তখন সুপ্রিম কোর্টের কাছে তাঁর সাজার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। যদি আত্মসমর্পণ না করেন, তাহলে তাঁর রাইট অব আপিল থাকবে না।’

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ট্রাইব্যুনাল অবজারভেশন দিয়েছেন যে, আওয়ামী লীগ ও ১৪-দলীয় জোট যে সন্ত্রাসী বা ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন, এটা প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সাবমিশন ছিল। আদালত বলেছেন এটি যেহেতু আজকের এই মামলার বিচার্য বিষয় নয়, সে ব্যাপারে তাঁরা কোনো অবজারভেশন দেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন। অর্থাৎ তাদের ব্যাপারে প্রসিকিউশনের যে আলাদা তদন্ত চলমান আছে, দল হিসেবে একটা সংগঠনের ব্যাপারে যে তারা সত্যিকার অর্থে অপরাধী সংগঠন কি না, সেটি একটি আলাদা মামলায় বিচার্য বিষয় হতে পারে। এই মামলায় যেহেতু কোনো দল পক্ষ নয় বা আসামি হিসেবে সংক্ষিপ্ত করা হয়নি।

যে দুজন আসামি পলাতক রয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে রাষ্ট্র দুই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে—এমনটি জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘একটি হচ্ছে, ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত ২০১৩ সালের যে অপরাধীর বহিসমর্পণ চুক্তি, সেই চুক্তি অনুযায়ী তাঁদের বাংলাদেশ ভারত সরকারের কাছে ফেরত চাইবে। ভারত সরকার যদি আইনের শাসন ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়, তারা সেই আসামিদের ফেরত দেবে। আমাদের এখানে যেহেতু মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত আনার মাধ্যমে তাঁদের ওপরে যে সাজা দেওয়া হয়েছে, সেটা কার্যকর করা যাবে।

‘দ্বিতীয় যে প্রক্রিয়া আছে, সেটি হচ্ছে, ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে এনে রায় কার্যকর করা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

গুমের মামলায় হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ২১ ডিসেম্বর

বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসবে ইসি

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

ওসমান হাদিকে গুলি: উদ্বেগ-শঙ্কায় জুলাই যোদ্ধারা, নিরাপত্তার আশ্বাস সরকারের

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

বিজয়ের পূর্বক্ষণে বেছে বেছে হত্যা করা হয় বুদ্ধিজীবীদের

সুদানে ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনারের বিশেষ নিরাপত্তা চেয়ে ডিএমপিকে ইসির চিঠি