স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশে চাহিদার চেয়ে পেঁয়াজ উৎপাদন এবার ভালো হয়েছে। সরকারের দেওয়া এয়ার ফ্লো মেশিন ও কৃষকদের নিজস্ব প্রচেষ্টার ফলে পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে না। আমদানি করার জন্য আমদানিকারকেরা এখন হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন। বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের দাম মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে (৭০-৮০ টাকা) রয়েছে। পেঁয়াজের দাম উৎপাদন খরচের চেয়ে কম হলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাজারে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন শুরু হচ্ছে।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সার সরবরাহ, ব্যবহার ও নীতিমালা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, আজকে সভায় সারের ব্যবস্থাপনা, দাম ও নতুন নীতিমালা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সারের কোনো সংকট নেই। পর্যাপ্ত সার মজুত রয়েছে। সারের দামও বাড়বে না। বর্তমানে সারের দাম নিম্নমুখী। ইউরিয়া সার ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। কৃষকেরা অনেক সময় সার বেশি দিয়ে দেন। ইউরিয়া সার বেশি দিলে গাছ বড় ও সবুজ দেখায়, কিন্তু ফলন বাড়ে না। ইউরিয়া সার জমিরও ক্ষতি করে।
সার নীতিমালার উদ্দেশ্য কী—জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এর মধ্য দিয়ে কিছু দুর্নীতিবাজকে মোকাবিলা করা হবে এবং অবৈধ লাইসেন্সপ্রাপ্তদের সমস্যা দূর করা হবে। আগে সার ডিলারদের বিভিন্ন সংস্থার জন্য আলাদা লাইসেন্স নিতে হতো। নতুন নীতিমালায় একটি লাইসেন্সেই সব ধরনের সার একজন ডিলার এক দোকান থেকে বিক্রি করতে পারবেন। আর নতুন লাইসেন্স দেওয়ার জন্য একটি সেন্ট্রাল কমিটি গঠন করা হবে।
গ্যাসের দাম বাড়লেও সারের দাম বাড়বে না জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সার কারখানায় গ্যাসের দাম ১৬ থেকে ৪০ টাকা হলেও কৃষি খাতে এর কোনো সম্পর্ক নেই। কৃষকের দর একই থাকবে এবং সরকার ভর্তুকি দেবে।