টঙ্গীর রাসায়নিকের গুদামে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ফায়ার ফাইটারদের চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর থেকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় আসছেন। তিনি আজ মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন।
আজ রাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হেডকোয়ার্টারে নিহত ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদের জানাজা শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
এর আগে আজ বিকেলে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ওই গুদামে দগ্ধ ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ। গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে তিনি শতভাগ দগ্ধ হন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঢাকার টঙ্গীতে একটি রাসায়নিকের গুদামে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে দগ্ধ হন ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ। আজ বিকেলে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি শতভাগ দগ্ধ হয়েছিলেন। আরও তিনজন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থা খারাপ।
উপদেষ্টা বলেন, রাতে সিঙ্গাপুর থেকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসবেন। তিনি রাত ১০টার দিকে এসে পৌঁছাবেন। ওই চিকিৎসকের পরামর্শে পরবর্তী কার্যক্রম নেওয়া হবে। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল। হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা খুবই ভালো এবং চিকিৎসকেরা পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করেন।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে নিহত ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদের পরিবারকে ভালো অর্থায়ন করা হচ্ছে। শামীমের জন্য সবাই দোয়া করবেন। তিনি কর্তব্যকালীন জীবন দিয়েছেন।
ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদের জানাজায় আরও অংশ নেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নিহত শামীমের পরিবার।
বিকেলে ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, গতকাল সোমবার বিকেলে টঙ্গীতে রাসায়নিকের একটি গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের চার কর্মী দগ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে দুজন ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ ও নুরুল হুদার শরীরের ১০০ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাঁদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। আজ বেলা ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদের মৃত্যু হয়।