১৫৮ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগারওয়ালা ও তাঁর স্ত্রী সবিতা আগারওয়ালার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
পাশাপাশি প্রায় ১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান ও তাঁর স্ত্রী শারমীন খানের বিরুদ্ধেও পৃথক দুই মামলা অনুমোদন করেছে কমিশন।
আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্তের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালার বিরুদ্ধে ১১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৮ হাজার ৪০৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৩৪টি ব্যাংক হিসাবে ৭৫৫ কোটি ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ছাড়া আগারওয়ালার স্ত্রী সবিতা আগারওয়ালার বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি ৭০ লাখ ৬৭ হাজার ২৮৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও আটটি ব্যাংক হিসাবে ২১৩ কোটি ২৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯২৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে অপর মামলাটি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান দুদকের এ মহাপরিচালক।
অন্যদিকে বাজুসের সাবেক সহসভাপতি, ডায়মন্ড অ্যান্ড ডাইভার্স ও শারমীন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী এনামুল হক খানের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ৬৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর ১২টি ব্যাংক হিসাবে ১৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৪২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে বলেও দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে।
অপর একটি মামলা অনুমোদন করা হয়েছে এনামুল হকের স্ত্রী শারমীন খানের বিরুদ্ধে। অনুমোদিত মামলায় ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সাতটি ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ২২ লাখ ৯০ হাজার ১৬৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও তা ভোগদখলে রাখার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।