গ্রাম আদালতে জরিমানা করার ক্ষমতা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এমন বিধান রেখে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল তুলেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। পরে বিলটি পরীক্ষা করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলের তফসিলে সাত ধরনের দেওয়ানি মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো কোনো চুক্তি রসিদ বা অন্য কোনো দলিলমূল্যে প্রাপ্য অর্থ আদায়; কোনো অস্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার বা তার মূল্য আদায়ের মামলা; স্থাবর সম্পত্তি বেদখল হওয়ার এক বছরের মধ্যে তার দখল পুনরুদ্ধারের মামলা; কোনো অস্থাবর সম্পত্তির জবরদখল বা ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা; গবাদিপশু অনধিকার প্রবেশের কারণে ক্ষতিপূরণের মামলা; কৃষি শ্রমিকদের পরিশোধ্য মজুরি ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা এবং কোনো স্ত্রী কর্তৃক তার বকেয়া ভরণপোষণ আদায়ের মামলা। এসব বিষয় গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তিযোগ্য হবে।
বিলে বলা হয়েছে, একজন চেয়ারম্যান এবং উভয় পক্ষ মনোনীত দুজন করে মোট পাঁচজন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠন করা হবে। প্রত্যেক পক্ষ কর্তৃক মনোনীত দুজন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হতে হবে। ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার সঙ্গে কোনো নারীর স্বার্থ জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে একজন নারীকে সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেবে। চারজন সদস্যের উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত দুই–দুই ভোটে অমীমাংসিত হলে চেয়ারম্যান নির্ণায়ক ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।