হোম > জাতীয়

শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার বন্ধের নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার না করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সরিয়ে ফেলতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

এর আগে সকালে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই আবেদন জানানো হয়।

এর আগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশও দেওয়া হয়।

৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগের পর প্রথমবারের মতো গতকাল বুধবার প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই বক্তব্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতির অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে পাল্টা গণহত্যার অভিযোগ তোলেন তিনি। ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগের পর ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেখানে বসেই বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন। সেখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের ওপর এই নির্যাতন কেন? কেন তাদের নির্মমভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে?’ তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।’

পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাবা শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের মতো তাঁকে ও বোন শেখ রেহানাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলে দাবি করেন হাসিনা।

৫ আগস্ট গণভবনে সংঘটিত সহিংস হামলার ঘটনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সশস্ত্র বিক্ষোভকারীদের গণভবনের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি চালালে অনেক মানুষ মারা যেত। সেদিন আমাকে গণভবন ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। আমি বলেছিলাম, কিছুতেই যেন গুলি চালানো না হয়।’

হাসিনা তাঁর বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন।

তিনি বলেন, ‘আজ আমাকে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। বাস্তবে, ড. ইউনূসই সুপরিকল্পিতভাবে সংঘটিত গণহত্যায় জড়িত। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান—কেউ রক্ষা পায়নি। ১১টি গির্জা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, মন্দির ও বৌদ্ধ বিহার ভেঙে ফেলা হয়েছে। হিন্দুরা যখন প্রতিবাদ করল, তখন ইসকনের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলো।’

হাসিনা আরও দাবি করেন, সহিংসতা এড়াতেই আগস্টে তিনি বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন। কিন্তু চলে যাওয়ার পর ‘সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা আরও বেড়েছে’ বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তাঁদের দুই বোনকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল দাবি করে হাসিনা বলেন, ‘যখন নির্বিচারে মানুষ মারা যাচ্ছিল, তখন আমি দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু আমার পদত্যাগের পরও সহিংসতা থামেনি।’

বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়সহ সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা ও নিপীড়নের বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে ভারত। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে এমন বক্তব্য দিলেন শেখ হাসিনা।

প্রথম আলো, ডেইলি স্টারে হামলা ও নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় বিপিজেএর নিন্দা

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব

হাদির মৃত্যুতে উদ্বেগ, নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানালেন জাতিসংঘের ফলকার তুর্ক

হাদি হত্যার প্রতিবাদে গণমাধ্যমের ওপর হামলার দায় সরকার এড়াতে পারে না: টিআইবি

ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে শনিবার বেলা দুইটায়

ভাঙচুর ও লুটতরাজকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ছায়ানটের

ওসমান হাদির লাশের আগমন ঘিরে শাহজালাল বিমানবন্দরজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা-অগ্নিসংযোগকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনুন: সিপিজে

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ওপর হামলায় মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের নিন্দা

সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে: ছায়ানট পরিদর্শন শেষে ফারুকী