সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নসরুল হামিদের ২০০ কোটি টাকা মূল্যের স্থাপনাসহ গুলশানের একটি জমি ক্রোক করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জমিটি ক্রোক করতে দুদক থেকে আবেদন করা হয়েছে। কমিশনের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলামের স্বাক্ষরে ক্রোক আবেদনের চিঠি আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দুদক সূত্রটি জানিয়েছে, জমিটির নসরুল হামিদের মালিকানাধীন হামিদ রিয়েল এস্টেট কন্সট্রাকশন লিমিটেড নামে নামজারি করা আছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা। তিনি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকও।
আদালতে দুদকের করা আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নসরুল হামিদ তাঁর স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির আগে বর্ণিত সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে তদন্তের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
অভিযোগটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত পর্যন্ত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উল্লিখিত স্থাবর সম্পদ/সম্পত্তির মালিকানা পরিবর্তন/স্থানান্তর বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করতে না পারেন এ মর্মে ক্রোক (Attachment) এবং রিসিভার (Receiver) নিয়োগের আদেশ চেয়ে আবেদন করেছে দুদক।
এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর ৬৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী, তাঁর স্ত্রী ও ছেলের নামের মামলা করেছে দুদক। এ ছাড়া তাঁর নিজ নামে ও নিজের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৯৮টি ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ আনে দুদক।
এ ছাড়া নসরুল হামিদের স্ত্রী সীমা হামিদ ও ছেলে জারিফ হামিদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা পৃথক দুটি মামলাতেও নসরুল হামিদকেও আসামি করা হয়।
তাঁদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪–এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
গত ২২ আগস্ট নসরুল হামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। ওই দিন তার প্রতিষ্ঠান হামিদ গ্রুপে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আত্মগোপনে চলে যান সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নসরুল হামিদ।