বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনির নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাজি সেলিমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ আজ মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জিন্নাত আলী।
চার দিনের রিমান্ড শেষে আজ হাজি সেলিমকে আদালতে হাজির করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল হাসান খান পুলক তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর এই মামলায় হাজি সেলিমকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন পর গত ২৮ নভেম্বর কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘আদালতের আদেশে রিমান্ডে পেয়ে হাজি সেলিমকে ব্যাপক ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আসামি বাক্প্রতিবন্ধী। তিনি জিজ্ঞাসাবাদকালে ইশারায়, আকার-ইঙ্গিতে মামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন—যা মামলার তদন্তে সহায়ক হবে। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে পরবর্তী সময়ে তাঁকে পুনরায় রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। এ অবস্থায় বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত হাজি সেলিমকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট চানখাঁরপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে সরকার পতনের আন্দোলনে অংশ নেন ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনির। দুপুরে গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার গত ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় মামলা করেন। হাজি সেলিম এই মামলার ১২ নম্বর আসামি।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর হাজি সেলিমকে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকার একটি বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। এ পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।