ঢাকার ব্যস্ত নগরজীবনে প্রতিদিনের যাতায়াত এখন অনেকটাই বদলে দিয়েছে মেট্রোরেল। কয়েক ঘণ্টার জায়গায় এখন মাত্র আধা ঘণ্টায় উত্তরা থেকে মতিঝিল যাতায়াত করা যায়। এটি যেমন কর্মজীবীদের সময় বাঁচাচ্ছে, তেমনি নগদ ভাড়ার বিকল্প ব্যবস্থা চালু করে নতুন যুগের সূচনা করেছে। এর জন্য চালু করা হয়েছে দুটি স্মার্টকার্ড—এমআরটি পাস ও র্যাপিড পাস। প্রতিটির রয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা। এই কার্ড নষ্ট হতে পারে বা হারিয়ে যেতে পারে। তখন কী করতে হবে— এ বিষয়েও যাত্রীদের সচেতন থাকা জরুরি।
এমআরটি পাস: নিয়মিত যাত্রীদের জন্য
নির্দিষ্ট করে মেট্রোরেলের যাত্রীদের জন্য তৈরি হয়েছে এমআরটি পাস। এই কার্ডের বৈশিষ্ট্য হলো—
অর্থাৎ যারা নিয়মিত মেট্রোরেল ব্যবহার করেন তাদের জন্য এটি সাশ্রয়ী ও ঝামেলাহীন সমাধান। তবে এই মুহূর্তে সরবরাহ না থাকায় এমআরটি পাস বিতরণ বন্ধ আছে। সেক্ষেত্রে উপযুক্ত বিকল্প র্যাপিড পাস।
র্যাপিড পাস: এক কার্ডে সব পরিবহন
এমআরটি পাস ও র্যাপিড পাস বৈশিষ্ট্যে কাছাকাছি হলেও কিছু ভিন্নতা আছে। এমআরটি পাস শুধু মেট্রোরেলের জন্য। তবে র্যাপিড পাসের মূল লক্ষ্য হলো একীভূত ই-টিকিটিং ব্যবস্থা তৈরি করা। এটি দিয়ে অন্য ধরনের পরিবহনেও ভ্রমণ করা যাবে। র্যাপিড পাসের বৈশিষ্ট্য—
অর্থাৎ, যারা বিভিন্ন ধরনের গণপরিবহন ব্যবহার করেন তাদের জন্য র্যাপিড পাস সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।
কার্ড নষ্ট হলে করণীয়
এমআরটি পাস
কার্ড নষ্ট হলে স্টেশনের কাস্টমার সার্ভিস কাউন্টারে গিয়ে জানাতে হবে।
র্যাপিড পাস
কার্ড হারিয়ে গেলে করণীয়
ব্যবহার ক্ষেত্র
শুধু মেট্রোরেল
মেট্রোরেল + অন্যান্য পরিবহন
মূল্য
২০০ টাকা ডিপোজিট + রিচার্জ
৪০০ টাকা (২০০ ডিপোজিট + ২০০ রিচার্জ)
ভাড়ায় ছাড়
১০%
১০% ( শুধু মেট্রোরেলে)
রিচার্জ সীমা
সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা
সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা
ভবিষ্যৎ সুযোগ
মেট্রোরেলেই সীমাবদ্ধ
বাস, ট্রেন, ফেরি, টোলসহ জাতীয় পর্যায়ে সম্প্রসারণ
যাত্রীদের জন্য পরামর্শ
ঢাকা শহরে প্রতিদিনের যাতায়াতকে আরও দ্রুত, সহজ ও সাশ্রয়ী করেছে মেট্রোরেল। আর এমআরটি পাস ও র্যাপিড পাস সেই যাত্রাকে করেছে ডিজিটাল ও ঝামেলাহীন। নিয়মিত মেট্রোরেল ব্যবহারকারীরা এমআরটি পাস থেকে বেশি সুবিধা পাবেন, অন্যদিকে বিভিন্ন পরিবহনে যাতায়াতকারীরা র্যাপিড পাস ব্যবহার করে এক কার্ডেই সব সমাধান পাবেন। তবে উভয় কার্ড নষ্ট বা হারিয়ে গেলে যাত্রীদের সচেতনতা ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়াই আর্থিক ক্ষতি কমানোর একমাত্র উপায়।