মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটেছে এ বছরের খেতাবপ্রাপ্ত বিজয়ী জেসিয়া ইসলামকে মুকুট পরানোর মধ্য দিয়ে। আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসে আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্পের কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তরুণীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। চুলচেরা যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ার পর নির্বাচিত হন এবারের শীর্ষ ৯ প্রতিযোগী। শীর্ষ ৯ থেকে বিচার-বিশ্লেষণের পর নির্বাচিত হন চূড়ান্ত তিন প্রতিযোগী। তাঁরা হলেন জেসিয়া ইসলাম, সাজরিয়া তাবাসসুম প্রমা ও সোমাইয়া হারুন। ফাইনাল রাউন্ড শেষে জেসিয়া ইসলামকে মুকুট পরানো হয় এবারের মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৫ হিসেবে। সাজরিয়া তাবাসসুম প্রমা হন ফার্স্ট রানারআপ। আর সেকেন্ড রানারআপ হয়েছেন সোমাইয়া হারুন।
দ্বিতীয়বারের মতো মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার এই আয়োজনকে স্পনসর করেছে জাপানি স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড শোকুবুতসু। নারীর ক্ষমতায়ন ও ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে এই প্ল্যাটফর্মকে সহযোগিতা করছে শোকুবুতসু।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা ও মিস ইন্টারন্যাশনালের ন্যাশনাল ডিরেক্টর আজরা মাহমুদ ও শোকুবুতসুর মূল প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যমকর্মীরা। সৌন্দর্যের বাইরেও এ বছরের বিজয়ীরা তাঁদের সামাজিক প্রভাব ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রতি গভীরভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। জেসিয়া ইসলাম মাদকাসক্ত পথশিশুদের পুনর্বাসনে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। অন্যদিকে সাজরিয়া তাবাসসুম প্রমা ও সোমাইয়া হারুন দুজনেই সমাজকল্যাণমূলক বিভিন্ন প্রকল্পে যুক্ত রয়েছেন।
চূড়ান্ত তিন প্রতিযোগী এনজিওর সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যাতে তাঁদের প্রচেষ্টা অর্থবহ ও টেকসই পরিবর্তন আনতে পারে।
আগামী ২৭ নভেম্বর জাপানের টোকিওতে মিস ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় জেসিয়া ইসলাম গৌরবের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ শুধু সৌন্দর্য ও প্রতিভা প্রদর্শনের মঞ্চ নয়; বরং এটি সমাজে অর্থবহ অবদান, নারীর ক্ষমতায়ন এবং বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার অনুপ্রেরণা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।