হোম > জীবনধারা

ভালোবাসার ভালো খাবার

রজত কান্তি রায়, ঢাকা

আর মাত্র দুই দিন। তার পরেই ভালেন্টাইন নামে এক শাশ্বত বুড়োর স্মরণে পুরো বিশ্বে পালিত হবে ভ্যালেন্টাইন ডে, ভালোবাসার উৎসব। একই দিনে পয়লা ফাল্গুন। দুটি দিনই ফুলের, দুটি দিনই স্বাদের।

এই বেলা দু-চারটে কথা বলি। আমাদের পূর্বপুরুষেরা বলে গেছেন, ভালোবাসা পেট থেকে আসে। আপনি যদি আপনার দাদাকে প্রশ্ন করেন, দাদিকে কেন ভালোবাসেন? বেশির ভাগ দাদা উত্তর দেবেন, আহা আহা। তোর দাদি যা রান্না করত না! দাদির হাতের রান্না করা সেই সুস্বাদু খাবারই না দাদার জগৎটাকে শান্ত রেখেছে। সে জন্যই মনে হয় বাংলায় একটি প্রবাদ তৈরি হয়েছে— ‘পেট ভরা তো জগৎ ঠান্ডা।’ এটা কি জুলিয়া চাইল্ড জানতেন? সম্ভবত জানতেন। সে জন্যই তিনি বলেছেন, ‘খেতে ভালোবাসা মানুষেরা সব সময়ই সেরা মানুষ।’ সঙ্গে যদি সেরা মানুষ থাকে তাহলে যেকোনো দিনই ভালোবাসাময় হয়ে উঠতে পারে।

ভ্যালেন্টাইন ডে মানেই ব্যাপক ঘোরাফেরা আর আড্ডা। সারা দিন এখানে সেখানে ঘুরে ক্ষয় হওয়া এনার্জি সুস্বাদু খাবার খেয়েই না পূরণ করতে হবে। তাই এবার খাবার নিয়ে কিছু বলা যাক।

ঘোরাফেরার দিনে খাবারদাবারের মূলমন্ত্র হলো, অল্প অল্প খাওয়া। তাতে খাওয়ার পরের ক্লান্তি আসবে না। সকালবেলা নাশতা দিয়েই শুরু হোক খাবারের পালা, স্বাভাবিকভাবে। বাসা থেকেও খেয়ে বের হতে পারেন। নইলে চলে যেতে পারেন পুরান ঢাকা। প্রায় প্রতিটি রাস্তায় পাওয়া যাবে সারি সারি খাবারের দোকান। সকাল থেকেই তেহারি বা বিরিয়ানির দেখা পাওয়া যাবে পুরান ঢাকার অলিগলিতে। কিন্তু ভুলেও সেগুলো খাওয়া যাবে না সকালে। তাহলে কী খাবেন নাশতায়? একটু ভিন্ন হোক না এক দিন। চলে গেলেন লুচি-সবজির দোকানে। নাজিরাবাজার, রায় সাহেব বাজার, বংশাল, বাংলাবাজার, চানখাঁরপুল, লালবাগ, চকবাজার, কলতাবাজার, পাটুয়াটুলী ইত্যাদি প্রায় সব জায়গায় পাওয়া যাবে লুচি, পরোটা আর ভাজি বা ঘন ডাল। সকালের নাশতাটা সেগুলো দিয়েই হোক জম্পেশ। তাতে ঘোরাঘুরির আমেজও আসবে আবার খাওয়াও হবে। বাংলাবাজারের চৌরঙ্গী আর পাটুয়াটুলীর দিল্লি সুইট মিটের মতো বিখ্যাত খাবারের দোকানেও যেতে পারেন।

যদি মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডির দিকে থাকেন, তাহলে যেতে পারেন খাদ্য সরণিতে। সিটি কলেজের মোড়ের স্টার থেকে শুরু করে পুরো সাতমসজিদ রোড হলো খাদ্য সরণি। শখানেকের বেশি বিভিন্ন ধরনের রেস্তোরাঁ আছে এই দেড় কিলোমিটারের মধ্যে। ধানমন্ডি ১৫ নম্বরে আছে শেফস টেবল। আর একটু এগিয়ে এলে, রিংরোডের দুই ধারে পাওয়া যাবে সারি সারি রেস্তোরাঁ। সেগুলোর যেকোনোটিতে ঢুকে পড়া যায় নির্দ্বিধায়। সকালে মিলবে সুস্বাদু সব খাবার।

সকালবেলাটা শেষ। এরপর ঘুরতে বের হন। ঢাকায় ঘোরাঘুরির জন্য বেছে নিতে হবে নির্দিষ্ট এলাকা। যেতে পারেন পুরান ঢাকার দিকে। আর নয়তো থাকতে পারেন উত্তরা থেকে শাহবাগের মধ্যে যেকোনো জায়গায়। কিন্তু মিসম্যাস করা যাবে না। তাহলে সময়ে কুলাতে পারবেন না। দিনটাই মাটি হয়ে যাবে।

সকালের খাবারের পর খানিক ঘোরাঘুরি করে নিন যে এলাকায় আপনি আছেন, সেই এলাকায়। ঘুরলেই ক্ষুধা লাগবে, এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত। প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে যখন ঘুরছেন, ভেবে নিচ্ছি ভীষণ রোমান্টিক মুডে আছেন। কাজেই যেকোনো জায়গায় তো আর খেতে যাওয়া যায় না। পরিবেশ ও স্বাদ দুটোরই একটা প্যাকেজ থাকতে হবে।
মোটিভেশনাল স্পিকারদের কথা অনেক শুনেছেন, তাতে কারও কাজ হয়েছে আবার কারও কাজ হয়নি। এবার খান মোটিভেশনাল হরমোন যাতে প্রাকৃতিকভাবে শরীরে তৈরি হয়, সে রকম খাবার। সে রকম খাবার খেলে মোটিভেশনাল হরমোন শরীরে তৈরি হবে, এ বিষয়ে গ্যারান্টি দেওয়া যায়। ডোপামিনকে মোটিভেশনাল হরমোন বলে ডাকা হয়। কারণ এই হরমোন সারা দিন আপনাকে এক ধরনের ‘ফিলগুড’ অনুভূতি দেবে। কী সেসব খাবার, যেগুলো শরীরে ডোপামিন তৈরি করবে? বাদাম। যেকোনো বাদাম খান। দুপুরের খাবারে রাখতে পারেন বাদামের শরবত। পুরান ঢাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায়। যেকোনো ধরনের ফল বা ফলের রস। যেকোনো জুসবারে ঢুকে পড়ুন। বিভিন্ন ধরনের জুস পাবেন। পছন্দ করে অর্ডার দিন—   লার্জ, দুটো।

পনির, দুধ, দই এ রকম খাবার খেতে পারেন। খেতে পারেন ডার্ক চকলেট। এটা আপনার ফ্যান্টাসি বাড়িয়ে তুলবে।

ভাতের কথা নেই ভেবে কি কপালে ভাঁজ পড়ছে? চিন্তার কারণ নেই। ভেজ বা নন-ভেজ যেকোনো খাবারেই ডোপামিন তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে সয়াবিন, শিম, মটরশুঁটি, মুরগি, ডিম, মাংস, যেকোনো ধরনের মাছে ডোপামিন তৈরি হবে। কাজেই কোনো চিন্তা নেই। প্রায় সব খাবারের দোকানে পাওয়া যায় এসব খাবার। পছন্দের যেকোনো রেস্তোরাঁয় ঢুকে অর্ডার দিয়ে দিন—   ইয়েস, দুটো খাবার। দুপুরের খাবার শেষে, হুম, দু কাপ গরম কফি। হতে পারে না?

অতিরিক্ত মিষ্টি বা খাবার খাওয়ার পর সামলে নেবেন যেভাবে

এক তরুণের হাত ধরে ভাগ্য ফিরল পুরো গ্রামের

শীতে ত্বক সজীব ও ব্রণ দূর করতে ব্যবহার করুন বেসনে তৈরি এ প্যাকগুলো

শীতকাল যেভাবে সেলিব্রেট করতে পারেন

আপনার প্রিয় সাজের সামগ্রী কত দিন নিরাপদ

আজকের রাশিফল: ঝগড়া করার খুব ইচ্ছা হবে, ঘরের বসকে মেনে চলুন

২০২৬ সালে যে অভ্যাসগুলো আপনাকে সফল করে তুলতে পারে

ডায়াবেটিসের রোগীদের কেন সময় মতো খাবার খাওয়া জরুরি

গ্রামের নাম মহিষখোলা

মাধবকুণ্ড ঝরনার পানিতে বিরল ঝরনাপাখি