শিশুর খেলনার ঝুড়িতে জমা পড়ে অনেক অপ্রিয় খেলনা। এসব আর এখন তার ভালো লাগে না। বেশির ভাগ খেলনাই প্লাস্টিকের তৈরি। প্লাস্টিকের পুতুল, গাড়ি, নানা রকম পশু-পাখি ইত্যাদি। এগুলো পরিবারের বড়দের কোনো কাজে আসবে না ভেবে ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু পুরোনো খেলনাও কাজে লাগানো যায়, যাতে প্রয়োজন মিটবে পরিবারের সবারই।
জুয়েলারি স্ট্যান্ড
খেলনা নৌকা, বাটি, ট্রাকের পেছনের অংশ ব্যবহার করতে পারেন গয়না রাখার কাজে। একটা চিকন স্টিলের পাইপ আগুনে গরম করে এসব প্লাস্টিকের খেলনার মাঝখান দিয়ে প্রবেশ করিয়ে দিন। এবার ছোট্ট প্লাস্টিকের টবে বালু ভরে তার ভেতরে গেঁথে দিন এই পাইপ। বালু ঢেকে দিন রঙিন পাথরে। এবার খেলনাগুলোর ভেতরে কানের টপ, আংটি ও ছোট লকেট রাখতে পারেন। স্ট্যান্ডটি রাখুন প্রিয় ড্রেসিং টেবিলের ওপর।
চাবির রিং হ্যাঙ্গার
নরম প্লাস্টিকের ডাইনোসর ও অন্যান্য প্রাণীর খেলনা পাওয়া যায়। এগুলো শিশুর কাছে যদি পুরোনো হয়ে যায়, তাহলে আপনি কাজে লাগাতে পারেন অন্দরের প্রয়োজনে। বাসায় বিভিন্ন ধরনের চাবি থাকে। সেগুলো ঝোলানোর জন্য ছোট্ট কাঠের তক্তায় রং করে এই খেলনাগুলোর মাথার অংশ কেটে গ্লু গান দিয়ে লাগিয়ে দিন। তারপর এই তক্তা দেয়ালে সেঁটে দিয়ে চাবির রিং ঝুলিয়ে রাখলেই কাজ সারা। ঠিক একইভাবে ড্রয়ারের নব বানাতে পারেন এ ধরনের খেলনা দিয়ে।
প্লাস্টিক প্ল্যান্টার
প্লাস্টিকের একটু বড়সড় গাড়ি, ডাইনোসর ও অন্যান্য খেলনার ওপরের অংশ কেটে তার ভেতরে মাটি ভরে সাকুলেন্ট বা ছোট ইনডোর প্ল্যান্ট লাগাতে পারেন। কাজে তো লাগবেই, পাশাপাশি ঘর ও বারান্দার শোভা বাড়াবে এই প্লাস্টিক প্ল্যান্টারগুলো।
বুকএন্ড
বুকশেলফ বা টেবিলের ওপর বই সাজিয়ে রাখার জন্য বুকএন্ড ব্যবহার করা হয়, যাতে দাঁড় করিয়ে রাখা বইগুলো কাত হয়ে পড়ে না যায়। সে জন্য প্রাণীর খেলনাগুলো কাজে লাগানো যায়। এ ক্ষেত্রেও প্লাস্টিকের খেলনাগুলো দুই ভাগ করে কাটতে হবে। এবার সমান দুই টুকরো কাঠের তক্তার একটিতে প্রাণীর মাথার অংশ ও অন্য টুকরোয় প্রাণীর লেজের অংশ গ্লু গান দিয়ে লাগিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। এবার লম্বালম্বিভাবে বই গুছিয়ে রাখার সময় বইয়ের সামনে প্রাণীর মাথার অংশ ও বইয়ের শেষের অংশে লেজের অংশ রাখুন।
চার পায়ে সে ঠিকই ধরে
রাখবে বইগুলো।
সূত্র: ডাই ক্র্যাফট