মুখ ও চুলের যত্নের পাশাপাশি হাতের যত্ন নেওয়াও প্রয়োজন। একটু খেয়াল করে দেখুন তো, আমরা রোজ যতবার মুখ ধুই ঠিক ততবারই কি হাত ধুই? প্রতিদিনের কাজের ফলে হাতে ময়লা জমে ও মরা কোষ জন্মায়। তাই নিয়মিত হাতের যত্ন না নিলে মুখ ও হাতের রঙে সামঞ্জস্য থাকে না। হাতের যত্নে সপ্তাহে অন্তত দুবার ম্যানিকিউর করুন।
- নেইলপলিশ রিমুভার
- কটন বল
- নেইলকাটার, ব্রাশ, নেইল ফাইলার
- শ্যাম্পু
- হালকা গরম পানি
- লেবু, লবণ ও বেকিং পাউডার
- ত্বকের উপযোগী প্যাক
হ্যান্ড ক্রিম বা লোশন, ময়েশ্চারাইজার।
মুখের মতো হাতের যত্নেও মাঝে মাঝে প্যাক ব্যবহার করতে হবে। প্যাক বানাতে ডিমের কুসুম ফেটিয়ে নিন ভালো করে। হাতের ত্বকে মেখে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর কোমল সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়া ১ টেবিল চামচ চিনির সঙ্গে আধা চা-চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে স্ক্র্যাব তৈরি করে দুই হাতে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন কুসুম গরম পানি দিয়ে।
শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
- নখে নেইলপলিশ থাকলে প্রথমে রিমুভার ও কটন বলের সাহায্যে তুলে ফেলুন। হাত ধুয়ে ক্রিম বা লোশন লাগিয়ে নিন। এতে হাতের ময়লা নরম হবে।
- হালকা গরম পানিতে শ্যাম্পু, লবণ, বেকিং পাউডার ও লেবুর রস মেশান। বেকিং পাউডার ত্বকের মরা কোষ দূর করতে সাহায্য করে ও লেবু ত্বক পরিষ্কার করে। এবার ২০ মিনিট এই পানিতে হাত ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে হাতের নখ, আঙুলের ভাঁজ ও কনুই ঘষুন।
- নেইল কাটার দিয়ে নখের পছন্দসই আকার দিন ও নখ ফাইল করুন।
- নখ ও কুনুইতে লবণ দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এতে করে নখ উজ্জ্বল হবে ও কনুইয়ের ত্বক মসৃণ হবে। এ ছাড়া লবণ ভালো ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে।
- এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
- কাঁচা দুধ, বেসন ও কমলার খোসা একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। তারপর হাতে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকোতে শুরু করলে আলতো করে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক ব্যবহারে ত্বকের কালচে ভাব ও রোদে পোড়া দাগ কমে আসবে।
- হাত মুছে ত্বকের উপযোগী ময়েশ্চারাইজার লাগান।
- সবশেষে নখে পছন্দসই নেইলপলিশ লাগাতে পারেন।