তেলে ভাজার সময় অনেক কিছু খেয়াল রাখতে হয়। অভিজ্ঞতা না থাকলে ডিপ ফ্রাই করা বেশ মুশকিল। সঠিক তাপমাত্রা, পরিমাণ ও সময়ের সমন্বয় ঘটলেই কেবল নিখুঁতভাবে ভাজাভাজি করা সম্ভব। ডুবো তেলে ভাজার সময় অজান্তেই আমরা কিছু ভুল করি।
বেশি গরম তেলে বেশি মচমচে
তেল বেশি গরম করে ভাজলে খাবার মচমচে হয় ঠিকই। কিন্তু এর কিছু অসুবিধাও আছে। যেমন বেশি গরম তেলে ভাজা খাবারের বাইরের
আবরণ পুরোপুরি ভাজা হয়। কিন্তু ভেতরের উপাদান কাঁচাই থাকে। আবার আঁচ খুব কমিয়ে দিলে খাবারের ভেতর তেল ঢোকে, এতে মচমচে ভাব থাকে না। তাই মাঝারি আঁচে ভাজতে হবে।
সরিষার তেল ভালো
হয়তো সরিষার তেল ভালো। কিন্তু সরিষার তেলে কোনো কিছু ভাজার সময় ফেনা তৈরি হয়। ফেনার কারণে যেটা ভাজা হচ্ছে, সেটা দেখা যায় না। তাই সরিষার তেলের বদলে সয়াবিন তেলে ভাজাই ভালো। এতে পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমবে।
অনেক উপকরণ একবারে ভাজলে সময় কম লাগে, এ রকম একটি ধারণা আছে। একবারে বেশি পরিমাণে ভাজতে গেলে কিছু কিছু জায়গা কাঁচা থেকে যেতে পারে। তাই অল্প অল্প করে ভাজুন। তাতে ভাজা ভালো হবে।
বড় টুকরোয় কম তেল
ভাজার উপকরণের টুকরো বড় হলে তেল কম লাগে। বিষয়টি সে রকম নয়। কোনো কিছুর টুকরো বড় করে ভাজলে ভেতরে পর্যাপ্ত পরিমাণে তাপ পৌঁছাবে না। কিন্তু ওপরের অংশ ভাজা হয়ে যাবে। ছোট করে কাটলে সব দিক ভালোভাবে ভাজা যাবে, তেলও কম লাগবে।
ব্যবহৃত তেল আবার ব্যবহার
আগের থেকে যাওয়া তেল পরে আর ব্যবহার না করাই ভালো। একবার পুড়ে যাওয়া তেল পরে আবার ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যগত সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া তাতে খাবারের স্বাদও ভালো হয় না।