তোমার বাসায় নিশ্চয় দেয়াল ঘড়ি আছে। কীভাবে দেয়াল ঘড়ি দেখতে হয় তা কি জানো? না জেনে থাকলে পড়তে পারো জলের গল্প। জলের বয়স সবে চার হয়েছে। এখনই সে জানে কীভাবে ঘড়ি দেখতে হয়। ঘড়ি দেখার নিয়মটা শিখেছে তার মামার কাছ থেকে।
সে কিছুদিনের মধ্যেই স্কুলে ভর্তি হবে। এরই মধ্যে মামা তাকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস শেখাচ্ছেন। মামা তাকে শিখিয়েছেন ঘড়িতে দুটি কাঁটা থাকে। একটি ছোট, অন্যটি বড়। ছোটটি ঘণ্টার কাঁটা এবং বড়টি মিনিটের কাঁটা। মামা তাকে আরও বলেন কোনো কোনো ঘড়িতে তিনটি কাঁটা থাকে। সেটি তিড়িং বিড়িং করে লাফাতে থাকে। সেটি হলো সেকেন্ডের কাঁটা। জল মামার কাছ থেকে শিখে নেয় ঘণ্টার কাঁটা ও মিনিটের কাঁটা কোথায় থাকলে কয়টা বাজে। শিখে নিয়েছে পৌনে ও সোয়ার নিয়মটাও। পৌনে হলে নির্দিষ্ট সময় থেকে ১৫ কম। আর সোয়া হলো ১৫ বেশি। ধরো সোয়া সাতটা বাজে।
তার মানে ৭টা বেজে ১৫ মিনিট। যদি ঘড়ির কাঁটায় পৌঁনে সাতটা বাজে, তাহলে হবে ৬টা ৪৫ মিনিট। জল শিখে নিয়েছে কত মিনিটে এক ঘণ্টা হয়, কত সেকেন্ডে এক মিনিট হয়, বৃত্ত কাকে বলে, বৃত্ত কীভাবে আঁকতে হয় ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ‘জলের ঘড়ি’ নামে একটি বই আছে। বইটি লিখেছেন কাজী জহিরুল ইসলাম, প্রকাশ করেছে ‘খণ্ড-ত’ প্রকাশনী। বইটির মূল্য ১২০ টাকা।