এইটুকুন ছোট্ট কঙ্কা। মাত্র তিনটি বছর পেরিয়েছে তার। দুধভাত ছাড়া আর কিছুই খায় না সে। এমনকি লবণ আর হলুদ মাখানো ভাজা মাছটি খেলেও ঝালে চোখে পানি গড়ায় তার। কিন্তু শুধু দুধভাত খেলে কি আর চলে, বলো? বড় হতে হবে না? শক্তিশালী হতে হবে না? দৌড় খেলায় প্রথম হতে হবে না? আর এ জন্য তো সে রকম খাবারও খেতে হবে, বলো? বিকেলে বাড়ির সবার জন্য মা যে নাশতা বানান না কেন, কঙ্কার জন্য সেটা ঝাল ছাড়া করেন। কিন্তু ঝাল হোক বা না হোক, কঙ্কা সেসব খেতে নারাজ। দুধভাত, মিষ্টি, পুডিং আর চকলেট ছাড়া কোনো স্বাদই তার পছন্দ নয়।
কী করে অন্য রকম খাবারে রুচি আনানো যায় কঙ্কার, মা সেটাই ভাবেন রোজ। বিকেলে সবার জন্য নুডলস রাঁধতে গিয়ে মায়ের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল। ছোট্ট কঙ্কাকে এ উপায়ে নুডলস খাওয়ানো সম্ভব। এ জন্য মা আলাদা করে নুডলস সেদ্ধ করলেন। ছাঁকনিতে ছেঁকে নুডলসের মসলা আর লবণ দিয়ে অল্প তেলে ভেজে নিলেন নুডলসটা। এরপর একটা সাদা প্লেটে ভেজে নেওয়া নুডলসটা ইংরেজি ইউ শেপের মতো করে ঢেলে নিলেন। এরপর খোসাসহ শসা ভালো করে ধুয়ে গোল গোল দুই টুকরো করে কাটলেন। এবার গোল করে কাটা শসার মাঝখানের বিচির অংশ কেটে সরিয়ে রাখলেন। চশমার মতো হলো না? এবার চশমার ভেতর চোখ বানাতে দুই টুকরো শসা কেটে তার ওপর লাল আঙুর গোল করে কেটে চোখের মণি বানালেন।
শসার খোসা দিয়ে ভ্রু, চশমার ডাঁট, নাক ও চিবুক বানালেন। এবার টমেটো কেটে বানালেন টুকটুকে লাল ঠোঁট! ও হ্যাঁ, ইউ শেপে রাখা নুডলস হলো চুল। এবার চুলের ব্যান্ড বানাতে মা টমেটো গোল করে কেটে বসিয়ে দিলেন। ব্যস্, এই নুডলস কঙ্কা না খেয়ে পারে, বলো?