টিভিতে খাবারের অনুষ্ঠান দেখে কি কখনো খাবার বানানোর ইচ্ছা হয়েছে? কিন্তু ছোট বলে মা খাবার বানাতে দেননি? এমন কিছু ঘটে থাকলে ‘ফুড ট্র্যাক শেফ’ অ্যাপটি নামিয়ে খাবার বানাতে পারো। অ্যাপটিতে ট্যাকোস, কাবাব, নুডলস, রামেন, সুশি, ফাস্টফুড ও পিৎজাসহ অনেক খাবার বানানো যাবে। প্রথম রাউন্ডে পাস্তা ও কফি বানাতে হয়। ক্রেতাদের ফরমায়েশ পেয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাবার বানাতে হয়। অ্যাপটিতে খাবার বানাতে বানাতে লেভেল যত বাড়ে, ক্রেতার সংখ্যাও তত বাড়ে।
একজন যেতে না– যেতেই আরেকজন আসে। এতে চাপও বাড়ে। কে আগে এসেছে, সেটাও খেয়াল রাখতে হয়। আগে আসা ক্রেতাকে পরে খাবার দিলে পয়েন্ট কমে যায়। কারণ, খুব দ্রুত খাবার পরিবেশন না করলে ক্রেতারা রেগেমেগে চলে যায়। এতে পয়েন্ট জমানোর সুযোগ কমে।
সময়মতো ক্রেতার কাছে খাবার দিতে পারলে টাকা পাওয়া যায়। প্রতি ধাপে কত টাকা আয় করতে হবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। সময়মতো চুলা থেকে না নামালে খাবার পুড়ে যায়। তখন ফেলে দিয়ে আবার বানাতে হয়। এতে সময় আরও কমে যায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাবার দিতে না পারলে একই লেভেল আবারও পার করতে হয়। গুগল অ্যাপ স্টোরে অ্যাপটির রেটিং ৪.৩। এতে ৪০টির বেশি লেভেল আছে। প্রতিটি লেভেলে মেন্যুর সংখ্যা বাড়ে।
ফলে রান্না করতে করতে মনে হয়, দুটির বদলে চারটি হাত থাকলে ভালো হতো। রান্নার সময় কিছুক্ষণ অপেক্ষাও করতে হয়। তখন সামনে ক্রেতা থাকলেও খাবার দেওয়া যায় না। এতে ধৈর্য ধারণ করতে শেখা যায়। অ্যাপটি ইনস্টলের জন্য মোবাইলে ১০৪ মেগাবাইটের ফ্রি জায়গা প্রয়োজন হবে। রেস্তোরাঁ ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা পেতে চাইলে ফুড ট্র্যাক অ্যাপটি নামাতে পারো। এটি অফলাইনেও চালানো যায়।