এখনকার ফ্ল্যাটের সঙ্গে আগেকার উঠানওয়ালা বাড়ির পার্থক্য আছে। আগে চারদিকে ঘর থাকত। মাঝে থাকত উঠান। ঘরের আকার ও সংখ্যা দুটোই ছিল বেশি। এখন একটি ১ হাজার ১০০ বর্গ ফুটের ফ্ল্যাটেও ৩টি ঘর থাকে। ছোট ঘরে বড় আসবাব কীভাবে আঁটবে, তা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় পড়েন। হয়তো ঘরে একটি ইলেকট্রিক ওভেনের প্রয়োজন; কিন্তু রাখার জায়গা না থাকায় তা আর কেনা হয়ে ওঠে না। এ রকম সমস্যা এড়াতে ঘরের আসবাব কেনার সময়ই হিসাব নিকাশ করতে হবে।
যেভাবে জায়গা তৈরি হবে
• এলইডি টিভি কিনলে তা দেয়ালে বসিয়ে নিন। টেবিলে রাখতে চাইলে অতিরিক্ত জায়গা দখল হবে। ঘরও ছোট দেখাবে।
• চাইলে কাস্টমাইজড ড্রেসিং টেবিল বানাতে পারেন। আয়নার ভেতরে থাকবে কয়েকটি তাক। নিচেও থাকবে ড্রয়ার। এই জায়গাগুলো কাজে লাগানো গেলে অনেক কিছু রাখা যাবে।
• ভাঁজ করা যায় এমন টেবিল ও চেয়ার কিনলে ঘরে অতিরিক্ত জায়গা পাওয়া যাবে।
• ঘরে জায়গা বাঁচাতে চাইলে বড় ফ্রিজ কিনতে পারেন। এতে আলাদা করে ডিপ ফ্রিজ কেনার প্রয়োজন হবে না। এক ফ্রিজেই সব রাখা যাবে।
• জানালায় হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করবেন। এতে ঘর বড় দেখাবে।
• সাজগোজের প্রতি ঝোঁক না থাকলে ড্রেসিং টেবিলের বদলে বড় আয়না কিনতে পারেন। এতে ফাঁকা জায়গা তৈরি হবে।
• ঘরে টেবিল রাখতে না চাইলে ল্যাপটপ কিনুন। এতে টেবিল না কিনলেও চলবে।
• গান শোনার জন্য তারহীন ব্লুটুথ স্পিকার কিনতে পারেন। স্পিকারগুলো কায়দা করে দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখুন। আলাদা জায়গার দরকার হবে না।
• রান্নাঘরের জন্য র্যাক কিনতে চাইলে লম্বা দেখে কিনুন। এতে অনেক জিনিস আটবে।
• সব টব একত্রে রাখবেন না। গ্রিলের ধার দিয়ে সারিবদ্ধ করে রাখুন। বারান্দায় চলাচলের জায়গা পাবেন।
• বই রাখার জন্য বড় দেখে বুক শেলফ কিনুন। পরে বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও জায়গার সংকট হবে না।
শিশুর খেলনা একসঙ্গে রাখার জন্য ঝুড়ি কিনুন। খেলনা সবখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে না।