হোম > জীবনধারা

বেলা কাটে সৈকতে

মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম

ঢাকা: কবি জীবনান্দ দাস, মাইকেল মধুসূধন দত্ত আর কবি আব্দুল হাকিমের এই ‘বঙ্গদেশে’ কত রূপের পসরা সাজিয়ে রেখেছে প্রকৃতি, তা ঘর থেকে না বের হলে বোঝা দায়। বন্ধুবান্ধব নিয়ে অপার্থিব মায়াবী প্রকৃতির সন্ধানে একদিন হুট করেই বের হয়ে যাই সীতাকুণ্ডের পথে। আমরা সবাই মিলে মোট ছয়জন। কুমিরা সন্দ্বীপ ঘাটের দিক দিয়ে গাড়িতে খুব অল্প সময়েই চলে গেলাম গন্তব্যে।

গাড়ি রেখে এগিয়ে গেলাম। এ যেন আরেক জগৎ! সমুদ্রের বুকের ওপর পায়ে হাঁটা ব্রিজ চলে গেছে। এখান থেকেই সন্দ্বীপে যাওয়ার ট্রলার ছাড়ে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য এ ব্রিজ করা। কিন্তু এখন তা ভ্রমণপিপাসুদের মিলনমেলার আদর্শ স্থানে রূপ নিয়েছে। আছড়ে পড়া ঢেউয়ের দোল আর মাছ শিকারিদের মাছ ধরার দৃশ্য বাড়তি আনন্দের জোগান দেয়। এ ঘাটেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সমুদ্রে বীরদর্পে চলা জাহাজের ইতি ঘটে। এখানে জাহাজ নোঙর করার দৃশ্য আরেক অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ হওয়ার মতো কাহিনি।

ঠিক বিকেলবেলা কুমিরা ঘাটে ঘোরার সুবর্ণ সময়। সেখানে কাটান মাত্র একটি বিকেল, স্মৃতির পাতায় থাকবে বহুকাল জ্বলজ্বল। গন্তব্য সৌন্দর্যের আঁধার গুলিয়াখালী। সীতাকুণ্ডে পৌঁছে এবার গুলিয়াখালী বাজারের দিকে ছুটছি। যাব নয়নাভিরাম সমুদ্রসৈকত মুরাদপুর।

এখনো এই সৈকত অনেকের কাছেই অচেনা, অজানা। ছোট্ট একটা বাজারে গাড়ি রেখে খানিকটা কাদাপানি মাড়িয়ে পৌঁছে যাই সাগরের উত্তাল জলরাশির ধারে! প্রথম দর্শনেই চোখ জুড়িয়ে যায়। অপরূপ সব দৃশ্য, ছলাৎ ছলাৎ আছড়ে পড়া ঢেউ আর ঝিরঝির বাতাস মন ছুঁয়ে যাবে। পুরো মুরাদপুর সৈকতে কচি ঘাসের বিস্তীর্ণ মাঠ, অবারিত জলরাশি, দৃষ্টির সীমানায় সবুজ পাহাড়, আহ! সে এক অন্যরকম ভালো লাগার অনুভূতি।

প্রকৃতি যেন সব উজাড় করে মেলে ধরেছে এই মুরাদপুর সৈকতে। ইচ্ছে করলে নামমাত্র খরচে বোট দিয়ে ঘোরা যাবে সমুদ্রের অথই জলে। দেখা যাবে চমৎকার সূর্যাস্ত। ঢেউয়ে গড়িয়ে আসা নোনাজলে যখন ভিজবে পা, তখন মনে হবে, কী দেখি নাই আমি এতটা বছর। অথচ এর পাশ দিয়েই গিয়েছি কত–শতবার। উচ্ছ্বাস যখন চরমে, তখনই সূর্যমামা সেদিনের মতো লাল আভা ছড়িয়ে টুপ করে ডুব দিল। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো আমরাও। ফিরতি পথ ধরি। তবে হেঁটে নয়, বোটে। সত্যি বলতে কি, যদি বোটে না ফিরতাম, তাহলে ভ্রমণের অপূর্ণতাই রয়ে যেত।

সৈকত থেকে যখন তীরে ফিরছি, তখন মনে হলো যেন সোয়াম্প ফরেস্টের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য, ভিন্ন রকম শিহরণ। জলমগ্ন গাছের ফাঁক গলে অর্ধচন্দ্রের আলোয় বোট যতই এগিয়ে যায়, ততই যেন মনে হয় এই বাংলার রূপ আমি এখনো কিছুই দেখি নাই! সৈকত পেছনে ফেলে যখন সামনে আগাতে থাকবেন, তখন এক অন্যরকম টানে পেছন ফিরে তাকাবেন। মনে হবে কেউ হয়তো গেয়ে উঠছে ‘আরও কিছুক্ষণ কি রবে বন্ধু/ আরও কিছু কথা কি হবে / বলবে কি শুধু ভালোবাসি তোমায়?’ হ্যাঁ, ভালোবাসি বলেই তো বারেবার তোমার পরশ খুঁজে বেড়াই।

থাকবেন কোথায়: যাঁরা পরিবারের বিভিন্ন বয়সের সদস্য নিয়ে যাবেন, তাঁরা দুই দিনের সময় নিয়ে আগেই চট্টগ্রাম শহরের কোনো হোটেলে রুম বুকিং দিয়ে যাবেন। কারণ সীতাকুণ্ডে ভালো মানের কোনো আবাসিক হোটেল নেই। আর যাঁরা ইয়ার দোস্তদের সঙ্গে যাবেন, তাঁরা আগের দিন রাতে রওনা দিয়ে পরের দিন ঘুরে সন্ধ্যার পরেই ফিরতে পারবেন।

সবুজ পৃথিবীর জন্য ২০২৬: নতুন বছরে কিছু পরিবেশবান্ধব সংকল্প নিন

শীতে ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি খেতে হবে এই কয়েকটি খাবার

জেন-জি প্রজন্ম কি আসলে ভীত?

আজকের রাশিফল: প্রেমের সম্ভাবনা নষ্ট করবে অহংকার, সময় নিয়ে দাঁত মাজুন

চ্যাপা শুঁটকির পিঠা

২০২৬-এর ডায়েট রেজল্যুশন: নতুন বছর শুরু হোক টেকসই অভ্যাস নিয়ে

কোরিয়ানরা কেন কালো-সাদা পোশাকে ‘আসক্ত’

মাথার ওপর মরুকরণ: কেন বিশ্বজুড়ে কমছে পুরুষের চুলের ঘনত্ব

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

অতিরিক্ত খাওয়ার অভিযোগে বিয়ে বাতিল