ঢাকা: হলুদ এক ধরনের ঔষধি উদ্ভিদ। প্রাচীনকাল থেকে যেসব খাবার রোগ প্রতিরোধক হিসেবে গণ্য করা হতো, হলুদ সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। হলুদ রান্নার উপকরণে শুধু মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর রয়েছে অনেক ভেষজ গুণ।
উপকারিতা
• হলুদ ব্যথা, ফোলা বা প্রদাহ দূর করতে কাজ করে। এর প্রধান উপাদান কারকিউমিন। ব্যথা বা ফোলা সারাতে যে উপাদান কাজ করে সেটি হলো অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি। হলুদের অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরির উৎস হলো কারকিউমিন।
• কারকিউমিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান হিসেবেও কাজ করে, যা অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
• এটি মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে।
• হলুদ বাতের প্রদাহবিরোধী ওষুধের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর।
• এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
• এটি ডায়াবেটিস, হাঁপানি, হৃৎপিণ্ডের ঝুঁকি থেকে আমাদের দূরে রাখতে সহায়তা করে।
• কাঁচা হলুদ হলো প্রাকৃতিক প্রতিষেধক। কাটা এবং পোড়া জায়গায় হলুদবাটা দিতে পারলে ব্যথার উপশম হয়।
• সর্দি, কাশির ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা রাখে হলুদ।
• হলুদে আছে প্রোটিন ভিটামিন, খনিজ লবণ, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম উপাদান, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।