বারবিকিউর জন্য কয়লা এনেছিলেন। রান্নায় সব কয়লা ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি। কিছুটা বেচে গেছে। এটা দিয়ে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন ফেস প্যাক। কাঠ পোড়ালে কয়লা তৈরি হয়। এই কয়লা মিহি পাউডার করলে তৈরি হয় অ্যাকটিভেটেড চারকোল। এটি অ্যাকটিভেটেড কার্বন। কাঠ পোড়ানো হলে ছোট ছোট ছিদ্র তৈরি হয়, ফলে এর ক্ষতিকর পদার্থ শোষণের ক্ষমতা অনেক। তাই অনেক টুথপেস্টেই অ্যাকটিভেটেড চারকোল থাকে। আর একসময় এই অ্যাকটিভেটেড চারকোলে গ্রামের মানুষ দাঁত পরিষ্কার রাখতেন। দাঁত পরিষ্কার থাকলে ত্বকও পরিষ্কার থাকতে পারে বলেই এখন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
বিভিন্ন জিনিসপত্র সংরক্ষণে চারকোল ব্যবহারের ইতিহাস নতুন নয়। তবে সৌন্দর্যচর্চায় সক্রিয় চারকোলের ব্যবহার শুরু হয় ১৮৭০ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে। বর্তমানে শ্যাম্পু, সাবান থেকে স্ক্র্যাব সব ধরনের স্কিন কেয়ার পণ্যে চারকোল বা কয়লার গুঁড়ো ব্যবহৃত হয়।
মুখ থেকে টক্সিন বের করতে চারকোলের বিকল্প পাওয়া মুশকিল। এটি ত্বকের ময়লা বের করে। পোরস ছোট রাখে। ত্বকও উজ্জ্বল করে।
ফেস মাস্ক শিট
যদি কয়লা জোগাড় করতে সমস্যা হয়, তবে কিনে নিতে পারেন চারকোল ফেস মাস্ক শিট। একটি প্যাকেটে একটি ফেস মাস্ক শিট থাকে। মাস্কটি মুখে লাগানোর আগে মুখ পরিষ্কার করে চুল বেঁধে নিন। মাস্কটি এমনভাবে মুখে বিছিয়ে নিন, যাতে পুরো মুখ ঢেকে যায়। মাস্ক পরে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর টেনে তুলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক যাতে শুষ্ক না হয় তা নিশ্চিত করতে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে পারেন।
ত্বক যদি শুষ্ক হয় তবে জোজোবা তেল, অলিভ অয়েল ও হায়ালারোনিক অ্যাসিড আছে কি না, তা দেখে মাস্ক কিনবেন।
সতর্কতা