হোম > চাকরি

বাংলাদেশ ব্যাংকের লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি ও পরামর্শ

আনিসুল ইসলাম নাঈম

বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘সহকারী পরিচালক’ পদের লিখিত পরীক্ষা ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ পদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে লিখিত পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষায় মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়ে থাকে। এ পরীক্ষা ভালো দিতে পারলেই মোটামুটি চূড়ান্ত তালিকায় থাকা সম্ভব। লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি ও পরামর্শ নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (ব্যাচ-২০২৩) সাদিক আহমেদ

ফোকাস রাইটিং
এ পরীক্ষায় বাংলায় ৩৫ নম্বর এবং ইংরেজিতে ৩৫ নম্বর থাকে। সমসাময়িক টপিকের ওপর বাংলা ও ইংরেজিতে একটি করে ফোকাস রাইটিং লিখতে হয়। ফোকাস রাইটিং বিষয়টি নিয়ে অনেকের ভ্রান্ত ধারণা আছে। ফোকাস রাইটিংয়ের টাইটেল লিখতে হবে কি না, কতটুকু লিখতে হবে, পয়েন্ট আকারে লেখা যাবে কি না, ভূমিকা-উপসংহার থাকবে কি না ইত্যাদি। প্রশ্নগুলোর উত্তর হচ্ছে, টাইটেল লিখতে হবে, কতটুকু লিখতে হবে তা নির্ভর করবে আপনার হাতে কতটুকু সময় আছে, তার ওপর। ফোকাস রাইটিং ৩ থেকে ৪ পৃষ্ঠার হলে ভালো হয়। তবে এর কমবেশি হতে পারে। চেষ্টা করতে হবে, যত দ্রুত বেশি তথ্যবহুল লেখা যায়। কোনোভাবেই কোনো কিছু বাদ রেখে আসবেন না। ফোকাস রাইটিং পয়েন্ট আকারে, প্যারাগ্রাফ আকারে উভয়ভাবে লেখা যায়। ফোকাস রাইটিংয়ের শুরুতে কিছু introductory remarks এবং শেষে কিছু concluding remarks লেখা যেতে পারে। তবে শুরুতে ভূমিকা এবং শেষে উপসংহার শব্দ ব্যবহারে দরকার নেই। এখানে ভালো করার জন্য জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকাগুলোর সম্পাদকীয় অংশ পড়ুন। এখানে কিছু কমন টপিক, যেমন স্মার্ট বাংলাদেশ, ডিজিটাল ব্যাংক, সাইবার সিকিউরিটি, বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট, যেমন পদ্মা রেলসেতু, মেট্রোরেল, বাংলাদেশ ইন অ্যাটমিক ক্লাব, কর্ণফুলী টানেল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, মুদ্রাস্ফীতির কারণ এবং নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা, সম্ভাব্য বৈশ্বিক মন্দা এবং বাংলাদেশের করণীয়, ডলার-সংকট, আইসিটি ইন ব্যাংকিং সেক্টর, অনলাইন ব্যাংকিং ইত্যাদি। বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ফোকাস রাইটিংয়ের জন্য একই পরামর্শ।

ইংরেজি আনসিন কম্প্রিহেনশন
এই অংশে ৩০ নম্বরের জন্য একটি unseen comprehension দেওয়া থাকবে। প্যাসেজ শেষে ৬টি প্রশ্ন দেওয়া থাকবে। প্রতি প্রশ্নে ৫ নম্বর থাকবে। এই অংশে মূলত একটি unseen passage দেওয়া থাকবে। প্যাসেজের টপিক সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু হতে পারে। উত্তর করার সময় মনে রাখতে হবে, যেন প্যাসেজে নেই এমন কোনো বাইরের টপিক না লেখা হয়। প্যাসেজের বাক্য হুবহু না লিখে প্যারাফ্রেজ করে উত্তর করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ভালো করার জন্য শুরুতে প্রশ্ন পড়ে নিতে হবে। এরপর প্রশ্ন ধরে ধরে প্যাসেজের প্রাসঙ্গিক অংশগুলো পড়ে নিজের মতো সাজিয়ে লিখতে হবে। এই অংশে ভালো করার মূলমন্ত্র হলো synonym, linking word দিয়ে নিজের মতো সাজিয়ে লিখতে পারা। প্রশ্নের ধরন অনুযায়ী উত্তর ১ থেকে ৩ বাক্যে হতে পারে।

গণিত
এই অংশে ৩০ নম্বরের জন্য মোট ৫টি অঙ্ক থাকবে। প্রতিটি অঙ্কে ৬ নম্বর করে। গণিতের জন্য ৯ম-১০ম শ্রেণির অঙ্ক থাকবে। ৫টি প্রশ্নের মধ্যে ৩-৪টি গণিত মৌলিক হয়ে থাকে। যেহেতু সময়স্বল্পতা ও ইংরেজিতে প্রশ্ন হবে, তাই খুব দ্রুত অঙ্ক করার অনুশীলন করা প্রয়োজন। বিগত বছরের পরীক্ষায় আসা টপিক, এর সঙ্গে time & work, interest rate, probability, geometry, venn diagram, profit loss, unit-digit ইত্যাদি দেখে যেতে হবে।

আরগুমেন্ট রাইটিং
এই অংশে ৩০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। এতে একটি ইংরেজি স্টেটমেন্ট দেওয়া থাকবে। এর পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি দিতে হবে। এই অংশে ভালো করার জন্য নিজের ফ্রিহ্যান্ড রাইটিংয়ের দিকে জোর দিতে হবে। এখানে সাধারণত সামাজিক বা সমসাময়িক কোনো একটি স্টেটমেন্ট দেওয়া থাকে। শুরুতেই একটি পক্ষ বাছাই করে নিজের আরগুমেন্টকে স্ট্রং করার জন্য নানা যুক্তি, উদাহরণ ইত্যাদি অবতারণা করতে হবে। বিপক্ষ আরগুমেন্টের পক্ষে ছোট দু-একটি যুক্তি বলা যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে বিপক্ষ আরগুমেন্ট যেন বেশি শক্তিশালী না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সাধারণ জ্ঞান
এতে ৩০ নম্বরের জন্য মোট ১৫টি প্রশ্ন থাকে। সব প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। প্রশ্নগুলো সাধারণত বিভিন্ন ব্যাংকিং টার্ম, যেমন BACH, BACPS, NPSB, BEFTN, MICR ইত্যাদি, সাম্প্রতিক বিষয়াবলি, রিসেন্ট ক্রাইসিস, মেগা প্রজেক্ট, খেলাধুলা, জলবায়ু বিষয়াবলি, ভূগোল, ICT, আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা, যেমন SWIFT, SOFR, LIBOR ইত্যাদি টপিক থেকে এসে থাকে। এ বিষয়ে ভালো করার জন্য উল্লিখিত টপিকগুলো ভালো করে দেখে যেতে হবে। এ ছাড়া বিগত সালের প্রশ্নাবলি দেখে আইডিয়া লাভ করা যেতে পারে।

অনুবাদ
এতে ১০ নম্বরের অনুবাদ দেওয়া থাকে। একটি ইংরেজি প্যারাগ্রাফ দেওয়া থাকবে। এর বাংলা অনুবাদ করতে হবে। এই অংশে ভালো করার জন্য নিয়মিত অনুবাদের অনুশীলন করা জরুরি। ইংরেজি সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় থেকে বাংলায় অনুবাদের অনুশীলন করা যেতে পারে। এখানে মনে রাখা জরুরি, অনুবাদটি যেন ভাবানুবাদ হয় এবং পাঠকের কাছে শ্রুতিমধুর লাগে।

পরীক্ষার হলে সময় ব্যবস্থাপনা
লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় পাওয়া যাবে মাত্র ২ ঘণ্টা। তাই প্রস্তুতির পাশাপাশি সময় ব্যবস্থাপনা সমান গুরুত্বপূর্ণ। আগে থেকে টানা 
লেখার অভ্যাস না থাকলে বিপদে পড়তে হবে। কোনোভাবেই ফোকাস রাইটিং, আরগুমেন্ট রাইটিংয়ের মতো বেশি নম্বরের প্রশ্ন উত্তর না করে আসা যাবে না। এখানে কিছু কৌশল গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন প্রথমেই প্রশ্নে উল্লিখিত নির্দেশিকা মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। প্রশ্নে কোন ক্রমিকের উত্তর করতে হবে, এমন নির্দেশনা দেওয়া আছে কি না, তা খেয়াল করতে হবে। নির্দেশনা দেওয়া থাকলে সেই ক্রমিক মোতাবেক উত্তর করতে হবে। যদি এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া না থাকে, তবে সাধারণ জ্ঞান অংশ দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। পুরো বাক্য না লিখে শুধু প্রশ্নের উত্তর করলেও চলবে। সময় ব্যবস্থাপনার জন্য আগে থেকেই ঠিক রাখতে হবে 
কোন অংশে কতটুকু সময় দিতে হবে। শেষ সময়ে বেশি বেশি লেখার অভ্যাস করতে হবে।

অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

কল সেন্টার এজেন্ট পদে চাকরি দেবে ট্রাস্ট ব্যাংক

সিটি ব্যাংকে চাকরির সুযোগ, আবেদন অনলাইনে

সার্ভিস এক্সপার্ট পদে কর্মী নেবে ওয়ালটন

সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনে ৩৭ পদে নিয়োগ

নিয়োগকর্তার বিশ্বাস অর্জন করবেন যেভাবে

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এক সপ্তাহ পিছিয়ে ৯ জানুয়ারি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক: পেছাল প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

৪৬তম বিসিএস: বুধ ও বৃহস্পতিবারের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত

প্রাইম ব্যাংকে চাকরির সুযোগ

মধুমতি ব্যাংকে রিটেইল বিজনেস অ্যাসোসিয়েট পদে চাকরির সুযোগ