আগামী রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পরীক্ষার প্রথম ধাপের পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। এই প্রবেশপত্র দেখিয়েই আবেদনকারী নিজের জেলায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে সারা দেশে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আগামী ২২ এপ্রিল প্রথম ধাপে ২২টি জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে আগামী ২০ মে এবং তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে ৩ জুন। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের আগামী জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবেদনকারীর নিজ জেলায় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কোন তারিখে কোন জেলা ও উপজেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
প্রবেশপত্র ডাউনলোড করবেন যেভাবে
প্রার্থীরা আবেদনে উল্লিখিত মুঠোফোন নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার এসএমএস পাবেন। প্রথম ধাপের প্রার্থীরা আগামী রোববার (১৭ এপ্রিল) থেকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে (https://admit.dpe.gov.bd/) ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড অথবা এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাসের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
পরীক্ষার সময় প্রার্থীদের অবশ্যই প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে। আর ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশাবলী এবং পরীক্ষাসংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ও প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে।
২২ এপ্রিল প্রথম ধাপে যেসব জেলার সব উপজেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হলো—ঢাকা, গাজীপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মাগুরা, শেরপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, লালমনিরহাট।
আর যেসব জেলার কিছু উপজেলায় পরীক্ষা নেওয়া হবে সেগুলো হলো—যশোর (ঝিকরগাছা, কেশবপুর, মনিরামপুর, শার্শা), সিরাজগঞ্জ (উল্লাপাড়া, বেলকুচি, চৌহালী, কামারখন্দ, কাজীপুর), ময়মনসিংহ (ভালুকা, ধোবাউড়া, ফুলবাড়িয়া, গফরগাঁও, গৌরীপুর, হালুয়াঘাট, ঈশ্বরগঞ্জ), নেত্রকোনা (আটপাড়া, বারহাট্টা, দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, কেন্দুয়া), কিশোরগঞ্জ (অষ্টগ্রাম, বাজিতপুর, ভৈরব, হোসেনপুর, ইটনা, করিমগঞ্জ, কটিয়াদী), টাঙ্গাইল (সদর, ভুয়াপুর, দেলদুয়ার, ধনবাড়ী, ঘাটাইল, গোপালপুর), কুমিল্লা (বরুড়া, ব্রাহ্মণপাড়া, বুড়িচং, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, সদর, মেঘনা, দাউদকান্দি) ও নোয়াখালী (কবিরহাট, সদর, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, সুবর্ণচর)।
২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। সে হিসাবে একটি পদের বিপরীতে লড়বেন ২৯ জন প্রার্থী। প্রাথমিকের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ।