ইসলামে ভ্রমণকে শুধু জায়েজই নয়, বরং জ্ঞানার্জন, মনোদৈহিক সুস্থতা এবং আল্লাহর সৃষ্টি পর্যবেক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
কোরআনে আল্লাহ তাআলা মানুষকে পৃথিবীতে ভ্রমণের নির্দেশ দিয়েছেন—‘পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো, কীভাবে তিনি সৃষ্টি শুরু করেছেন; অতঃপর পুনরায় সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।’ (সুরা আনকাবুত: ২০)।
এ ছাড়া বলা হয়েছে, ‘পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো যারা মিথ্যা প্রমাণ করেছে—তাদের পরিণতি কী হয়েছে; এটি মানুষের জন্য শিক্ষার একটি দৃষ্টান্ত।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩৭–১৩৮)
ভ্রমণ মানসিক ও দৈহিক প্রশান্তি প্রদান করে এবং আল্লাহর সৃষ্টি ও প্রকৃতির বর্ণনা উপলব্ধিতে সহায়তা করে।
হজরত শেখ সাদি (রহ.) বলেছেন, ‘দুনিয়াতে সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী দুই প্রকারের—এক. চিন্তাশীল ব্যক্তি এবং দুই. দেশ সফরকারী ব্যক্তি।’
রাসুল (সা.)-এর ইসরা ও মিরাজ এবং পূর্ববর্তী নবী-রাসুলদের বিভিন্ন সফরও ভ্রমণের গুরুত্ব প্রদর্শন করে। এমনকি ইসলামি বিধান অনুসারে ভ্রমণে নামাজ সংক্ষেপ করার (কসর) অনুমতি দেওয়া হয়েছে—যা ভ্রমণকে আরও সহজ ও সুশৃঙ্খল করে।
ভ্রমণে করণীয়
ভ্রমণে বর্জনীয়
আমাদের প্রতিটি ভ্রমণ হতে পারে আল্লাহর সৃষ্টি পর্যবেক্ষণ ও ইমান মজবুত করার একটি সুযোগ। কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী ভ্রমণ মানসিক ও দৈহিক প্রশান্তি এনে জীবনের পরিপূর্ণতা আনতে পারে।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি