হালাল উপার্জন মুমিনের জন্য একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। এ ছাড়া অন্যান্য ইবাদত কবুল হওয়ার পূর্বশর্তও এটি। হালালকে গ্রহণ ও হারামকে বর্জনের মাধ্যমেই একজন মুমিন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে হালাল উপার্জনের বিষয়ে বিভিন্ন স্থানে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে মানব জাতি, তোমরা পৃথিবী থেকে হালাল ও পবিত্র বস্তু ভক্ষণ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সুরা বাকারা: ১৬৮)। আল্লাহ তাআলা আরও বলেছেন, ‘নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে।’ (সুরা জুমুআ: ১০)
নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে দেহের গোশত হারাম খাদ্যে গঠিত, তা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। হারাম খাদ্যে গঠিত দেহের জন্য জাহান্নামই সমীচীন।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ: ২৭৭২)। অন্য হাদিসে আরও এসেছে, ‘হারাম দিয়ে পরিপুষ্ট দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ: ২৭৮৭)
নিজ হাতে উপার্জনের শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিজ হাতে উপার্জিত খাদ্যের চেয়ে উত্তম খাদ্য কেউ কখনো খায় না। আল্লাহর নবী দাউদ (আ.) নিজ হাতে উপার্জন করে খেতেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ২০৭২)
হালাল উপার্জনের জন্য পরিশ্রমের পাশাপাশি আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখা মুমিনের অন্যতম গুণ। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর ওপরই ভরসা করো, যদি তোমরা মুমিন হও।’ (সুরা মায়িদা: ২৩)। তিনি আরও বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, আল্লাহ তার ইচ্ছা পূরণ করবেন।’ (সুরা তালাক: ৩)