মানুষ মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় তার সঙ্গে সম্পর্কিত চারটি বিষয় নির্ধারণ করা হয়ে যায়। বিষয়গুলো হলো—
১. রিজিক
প্রত্যেকের রিজিক নির্ধারিত, অহেতুক লোভ করে লাভ নেই। বাড়তি উপার্জনের জন্য উন্মত্ত হয়ে ছুটলেও শেষে কাজের কাজ কিছুই হবে না। চেষ্টা তো অবশ্যই করতে হবে, এটাই আল্লাহ তাআলার বিধান। তবে তা অর্জন করতে গিয়ে বাড়াবাড়ি না করে যতটুকু হয় তাতে সন্তুষ্ট থাকার অভ্যাস করা। আর কাঙ্ক্ষিত বস্তু অর্জন না হলেও আক্ষেপ না করা।
২. মৃত্যু
দুনিয়াতে কে কত দিন বাঁচবে? যার যত দিন আয়ু সে তত দিনই বাঁচবে, তার বেশিও নয়, কমও নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রত্যেক জাতির জন্য রয়েছে এক নির্দিষ্ট সময়, যখন তাদের সেই নির্দিষ্ট সময় এসে পড়বে, তখন তারা এক মুহূর্তও বিলম্ব করতে পারে না এবং ত্বরাও করতে পারবে না।’ (সুরা আরাফ: ৩৪)
সুতরাং যার যখন মৃত্যু হয়, তা তার নির্দিষ্ট সময়েই হয়। তার প্রিয়জনদের উচিত আল্লাহ তাআলার ফয়সালা হিসেবে তা মেনে নেওয়া। এমন কোনো কথা বলা উচিত নয়, যা তাকদির বা আল্লাহ তাআলার ফয়সালার বিরুদ্ধে অভিযোগ বলে মনে হয়।
৩. আমল ও ৪. ভাগ্য
যার আমল ভালো সে ভাগ্যবান। আমল মন্দ মানেই সে হতভাগা। যদি পূর্ব থেকেই কারও ব্যাপারে বদকার বা দুর্ভাগা হওয়ার কথা লেখা থাকে তাহলে এখানে তার দোষটা কী? এই আপত্তি অযৌক্তিক। হ্যাঁ, সাহাবায়ে কেরামের একবার নবীজি (সা.)—কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ, জাহান্নামি আর জান্নাতি যদি চিহ্নিতই করা থাকে তাহলে আমলকারী কিসের জন্য আমল করবে?’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য সেই কাজকে সহজ করে দেওয়া হয়, যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৬৪৯৬)
সুতরাং এ বিষয়ে আপত্তি করার সুযোগ নেই, বরং সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
লেখক: বাইতুল আকরাম মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স টঙ্গী গাজীপুর