দান-সদকা একটি প্রশংসনীয় ও মহৎ গুণ। সদকা আল্লাহর ক্রোধ স্তিমিত করে। দানে দূর হয় আগত বহু মসিবত। তাই পরিমাণে অল্প হলেও নিয়মিত দান-সদকা করা উচিত। কাউকে কোনো বস্তু দান করার পর তা ফিরিয়ে নেওয়া বা ওই ব্যক্তি থেকে তা অল্প দামে কিনে নেওয়া জঘন্য পাপ।
নবী (সা.)-এর সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এ বিষয়ে। হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি তোমার কৃত দান ফেরত নিয়ো না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৩৯০)
দান ফেরত নেওয়া ব্যক্তির দৃষ্টান্তে খুবই জঘন্য এক উপমা পেশ করা হয়েছে। এতেই বুঝে আসে দান করা বস্তু ফেরত নেওয়া কত খারাপ কাজ। হজরত ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নিজের দান প্রত্যর্পণকারী ব্যক্তি কুকুরের ন্যায়, যে বমি করে ও পরে সে তার বমি পুনরায় খায়।’ (সহিহ মুসলিম: ৪০৬৮)
গরিব-মিসকিনকে কোনো জিনিস দেওয়ার পর যদি দানকারী ব্যক্তি দেখে যে সে তা নষ্ট করে ফেলছে বা যথাযথ যত্ন নিচ্ছে না। হোক সেটা কোনো যানবাহন বা কোনো প্রাণী বা পরিধেয় বস্ত্র। এ ক্ষেত্রে দানকারী চাইলেই তা ফেরত বা পুনরায় কিনে নিতে পারবে? এর উত্তর হাদিসেই বিদ্যমান।
হজরত ওমর (রা.)-এর সঙ্গেও ঘটেছিল এমন ঘটনা। তিনি নবী (সা.)-এর সঙ্গে পরামর্শ করলে রাসুল (সা.) সুস্পষ্ট নিষেধ করে দিলেন। হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি একটি ঘোড়া আল্লাহর রাস্তায় দান করেন। পরে তিনি তার মালিকের নিকট ঘোড়াটি দেখতে পান যে, সে তাকে নষ্ট করে ফেলেছে। সে লোকটি ছিল গরিব। তাই তিনি তা কিনে নেওয়ার ইচ্ছা করেন। তখন তিনি রাসুল (সা.)-এর কাছে গিয়ে এ বিষয়টি তাঁকে বললেন। তিনি বললেন, ‘এক দিরহামের বিনিময়ে দিলেও তুমি তা খরিদ করবে না। কেননা, যে ব্যক্তি আপন দান ফিরিয়ে নেয়, সে সেই কুকুরের ন্যায়, যে নিজে বমি করে আবার তা খায়।’ (সহিহ মুসলিম: ৪০৫৭)