সময় গড়িয়ে চলে, কিন্তু ইসলামি বছরজুড়ে এমন কিছুদিন আসে, যা আমাদের শুধু শরীরের পরিচর্যা নয়, আত্মার নবজাগরণের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। রবিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা সেই বিশেষ দিনগুলোর মধ্যে অন্যতম, যখন একজন মুমিন নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলার সুযোগ খুঁজে পায়।
জুমা: আল্লাহর দেওয়া বিশেষ উপহার
সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে শুক্রবার বা জুমা মুসলমানদের জন্য এক বরকতময় দিন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা জুমার দিনে ব্যবসার সকল ব্যস্ততা ত্যাগ করে আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ধাবিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
নবী করিম (সা.)-এর ঘোষণা অনুযায়ী, সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে শুক্রবার হলো সর্বোত্তম দিন। (সহিহ্ মুসলিম)
সপ্তাহের প্রতিটি জুমা যেখানে নতুন সূচনার ইঙ্গিত দেয়, সেখানে রবিউস সানির এই চতুর্থ জুমা মনকে ক্লান্তির ভার থেকে মুক্ত করে হৃদয়ে এক নতুন আলোর সঞ্চার করে।
জুমা দিনে করণীয়
আত্মশুদ্ধির এই দিনে কিছু আমল বিশেষ ফলদায়ক:
রবিউস সানির এই জুমা আমাদের শেখায় যে ধর্ম কেবল রীতিনীতি নয়, বরং আত্মার পরিচর্যা। প্রতিটি আমলের মাধ্যমে আমরা শুধু ইবাদত করি না, বরং নিজেদের হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করি। এই বদলটাই জুমার আসল মাহাত্ম্য। এদিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—তুমি এখনো বদলাতে পারো, তুমি এখনো ভালো হতে পারো।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সেই শক্তি দিন, যেন আমরা প্রতিটি জুমাকে আত্মশুদ্ধি ও নবজাগরণের দিন হিসেবে পালন করতে পারি।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি