১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস, যা ২০০০ সাল থেকে জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী পালন করে আসছে। এর উদ্দেশ্য তরুণদের দায়িত্বশীল ও প্রভাবশালী নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা, তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং নীতি প্রণয়নে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশের জন্য এ দিবসের গুরুত্ব বিশেষ, কারণ প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীই তরুণ। তারা সঠিক পথে পরিচালিত হলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে, অন্যথায় সমাজ ও রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইসলামে যৌবনকাল এক মর্যাদাপূর্ণ সময়। কোরআনে আসহাবে কাহাফের মতো যুবকদের সত্যের পক্ষে দৃঢ় থাকার উদাহরণ রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সা বলেছেন, ‘বার্ধক্যের আগে যৌবনকে মূল্য দাও।’ (জামে তিরমিজি)। সাহাবিদের মধ্যে ওসামা ইবনে জায়েদ (রা.) মাত্র ১৮ বছর বয়সে সেনাপতি, মাসআব ইবনে উমাইর (রা.) মদিনায় প্রথম দাওয়াতি প্রতিনিধি ছিলেন।
যৌবন মানুষের শক্তি, সাহস ও সৃজনশীলতার শীর্ষ সময়। কিয়ামতের দিন এ সময় কীভাবে ব্যয় হয়েছে, তার জবাবদিহি হবে। বন্ধু ও পরিবেশ তরুণদের চরিত্রে বড় প্রভাব ফেলে। আজকের চ্যালেঞ্জ হলো—ডিজিটাল বিভ্রান্তি, ভোগবাদ, ধর্ম থেকে দূরত্ব, নেশা ও অপরাধে জড়িয়ে পড়া।
ইসলামি দৃষ্টিতে করণীয় হলো—
ইতিহাসে বদর, উহুদ, খন্দক যুদ্ধে তরুণ সাহাবাদের বীরত্ব; বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে যুবকদের আত্মত্যাগ প্রমাণ করে—যৌবন সঠিক পথে হলে ইতিহাস বদলায়।
যৌবন একবারই আসে—এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে আমানত। তাই প্রতিজ্ঞা হোক—সময় নষ্ট নয়, খারাপ সঙ্গ থেকে দূরে থাকা, জ্ঞান অর্জন ও প্রচার করা, ন্যায় ও কল্যাণের নেতৃত্ব দেওয়া। যারা আল্লাহর পথে যৌবন ব্যয় করবে, তারা দুনিয়া আলোকিত করবে এবং আখিরাতে আল্লাহর আরশের ছায়া পাবে।
লেখক: কলাম লেখক ও গবেষক