হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, এত দ্রুত ইউক্রেনের ‘পাল্টা আক্রমণের’ সাফল্য নিয়ে উপসংহারে পৌঁছানো ঠিক হবে না। তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেন চলমান যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সৈন্য হারিয়েছে। তবে দেশটির এখনো পর্যাপ্ত সৈন্য মজুত রয়েছে। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল শুক্রবার ওয়াশিংটনে বেসরকারি সংগঠন অ্যাসপেন ইনস্টিটিউটের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জেক সুলিভান বলেন, ‘প্রকৃত পাল্টা আক্রমণ আসা এখনো বাকি।’ জেক সুলিভান বলেন, প্রথম যেদিন ইউক্রেনীয়রা তাদের জন্মভূমি রক্ষায় প্রাণ দেওয়া শুরু করেছে, সেদিন থেকেই মূলত পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়ে গেছে।
জেক সুলিভান বলেন, ‘এই পাল্টা আক্রমণে এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ইউক্রেনীয় যোদ্ধা হতাহত হয়েছে। তারপরও এটি ভালোভাবে চলছে এবং সামনে কঠিন সময়।’ তিনি বলেন, এখনো ইউক্রেনের যথেষ্ট পরিমাণে যুদ্ধ সক্ষমতা রয়েছে, তবে তারা এখনই লড়ার জন্য প্রস্তুত নয় বরং তারা সঠিক মুহূর্তটি বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছে। কারণ, সে সময় পাল্টা আক্রমণ করা হলে তা যুদ্ধক্ষেত্রে সর্বাধিক প্রভাব ফেলবে।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ন্যাটোর সহায়তায় জোট গঠনের চেষ্টা করছে পোল্যান্ড। এই জোট ইউক্রেনের পশ্চিমাংশ এমনকি বেলারুশ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুতিন পোল্যান্ডকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, পোলিশরা ইউক্রেনে প্রবেশ করলে তাদের জায়গায় পুঁতে ফেলা হবে। গতকাল রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্যদের বৈঠকে পুতিন এ কথা বলেন।
পুতিন বলেন, ‘এমন জোট গঠনের একটাই উদ্দেশ্য হতে পারে তা হলো, ইউক্রেনের অঞ্চল দখল করে নেওয়া।’ এ সময় পুতিন পোল্যান্ডের প্রতি কড়া হুমকি উচ্চারণ করে বলেন, ‘যদি বিষয়টি ঘটেই অর্থাৎ পোলিশরা যদি লভিভে কিংবা ইউক্রেনের অন্য কোনো অঞ্চলে প্রবেশ করে, তবে তাদের জায়গায় পুঁতে ফেলা হবে এবং তারা সেখানেই চিরদিনের জন্য রয়ে যাবে।’