গাজায় চলমান সংঘাত অবসানের জন্য ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার (রোডম্যাপ) প্রস্তাব করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই শান্তি প্রস্তাবে আরব-ইউরোপসহ সবাই একমত হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্পের এই প্রস্তাবে এখনো কোনো সাড়া দেয়নি হামাস।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হামাসকে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার জবাব দেওয়ার জন্য তিন থেকে চার দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন। তবে এবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রস্তাবটি গ্রহণ করার জন্য হামাসকে কতটুকু সময় দেওয়া হবে, সে বিষয়ে ‘রেড লাইন’ (চূড়ান্ত সময়সীমা) টানবেন ট্রাম্প নিজে। আজ বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এ তথ্য জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি হামাসকে এই ২০ দফা প্রস্তাবটি গ্রহণ করার জন্য তিন থেকে চার দিন সময় দেবেন। ওই প্রস্তাবে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু হামাস ট্রাম্পের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, তারা ট্রাম্পের প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করছে।
হামাস কখন প্রস্তাবটি থেকে ‘সরে গেছে’ বলে বিবেচিত হবে, এমন একটি সময়সীমা জানতে চাইলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট ফক্স নিউজকে বলেন, ‘খুবই ভালো প্রশ্ন। এ বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজে আপনাদের জানাবেন। প্রেসিডেন্ট ও তাঁর দল এই ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করছেন।’
লেভিট আরও বলেন, ‘এটি একটি গ্রহণযোগ্য পরিকল্পনা এবং আমরা আশা করি, হামাস এই পরিকল্পনাটি গ্রহণ করবে।’
ট্রাম্পের এই পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে—তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, হামাসের হাতে আটক সব জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েলের হাতে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি, পর্যায়ক্রমে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ, একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, এই ২০ দফা পরিকল্পনার অনেকগুলো প্রস্তাব গত দুই বছরের বিভিন্ন যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষই বিভিন্ন সময়ে এসব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।