হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

সোমালি অভিবাসীদের ‘আবর্জনা’ বললেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এপির সৌজন্যে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমালি অভিবাসীদের ‘আবর্জনা’ বলে অভিহিত করেছেন এবং তাঁদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। জানা গেছে, মিনেসোটা রাজ্যে নথিবিহীন সোমালিদের বিরুদ্ধে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নিতে চলেছে। এমন খবর প্রকাশের মধ্যেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে গতকাল মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সোমালি বংশোদ্ভূত ও মার্কিন নাগরিক কংগ্রেসের প্রতিনিধি ইলহান ওমরকেও ট্রাম্প আক্রমণ করেন। বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের দেশে তাঁদের কোনো অবদান নেই। আমি তাঁদের আমাদের দেশে চাই না।’ এ সময় তিনি ইলহান ওমরকেও ‘আবর্জনা’ বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের দেশে আবর্জনা নিতে থাকি, তবে আমরা ভুল পথে যাব।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সোমালিয়া সম্পর্কে বলেন, ‘সোমালিয়া একটি বাজে দেশ। তাদেরকে ভালো বলার কোনো কারণ আমি দেখি না।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘এরা এমন মানুষ, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছাড়া আর কিছুই নেই। এই ধরনের মানুষ আমরা চাই না। তারা যেখান থেকে এসেছে, সেখানে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।’

নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, মিনিয়াপোলিস-সেন্ট পল মেট্রো এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সোমালি কমিউনিটির বাস। মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ চলতি সপ্তাহে ওই এলাকায় অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তের প্রক্রিয়া জোরদার করার পরিকল্পনা করেছে। মূলত যাঁদের বিরুদ্ধে নির্বাসনের চূড়ান্ত আদেশ রয়েছে, তাঁদের লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হবে। এই অভিযানের জন্য দেশজুড়ে প্রায় ১০০ জন আইসিই এজেন্ট ও ফেডারেল অফিসারদের নিয়ে একটি ‘স্ট্রাইক টিম’ ব্যবহার করা হবে।

এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ এমন সময়ে এল, যখন সোমালি বাসিন্দাদের জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েক বছরের পুরোনো বেশ কিছু জালিয়াতির মামলা সামনে এসেছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব মামলায় অভিযুক্তরা খাবার, চিকিৎসা, আবাসন ও অটিজম পরিষেবার জন্য জাল বিল করে রাষ্ট্র থেকে অর্থ নিয়েছেন।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট সোমবার ঘোষণা করেন, তাঁর সংস্থা তদন্ত করে দেখবে, মিনেসোটার করদাতাদের অর্থ আল-শাবাবের (সন্ত্রাসী সংগঠন) কাছে পাচার হয়েছে কি না।

তবে মিনিয়াপোলিসের মেয়র জ্যাকব ফ্রে ও অন্যান্য কর্মকর্তা মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিবাসন অভিযানের প্রতিবাদ করেন। মেয়র ফ্রে সোমালি সম্প্রদায়ের পাশে থাকার ঘোষণা দেন। তিনি সোমালি ভাষায় এবং পরে ইংরেজিতে বলেন, ‘আমাদের সোমালি কমিউনিটি, আমরা তোমাদের ভালোবাসি এবং আমরা তোমাদের পাশে আছি। যেকোনো পরিস্থিতিতে এই অঙ্গীকার অটল থাকবে।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, শুধু সোমালিদের লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হলে ‘আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া লঙ্ঘিত হবে, ভুল হবে। স্পষ্ট করে বললে, কিছু আমেরিকান নাগরিককে আটক করা হবে শুধু এই কারণে যে তাঁরা দেখতে সোমালির মতো।’

উল্লেখ্য, মিনিয়াপোলিসে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সোমালি জনগোষ্ঠী (প্রায় ৮০ হাজার) বাস করে, যাদের বেশির ভাগ মার্কিন নাগরিক বা বৈধ বাসিন্দা।

সন্ত্রাসী হামলার হুমকি, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় শিক্ষার্থী মনোজ সাই গ্রেপ্তার

আট ঘণ্টায়ও মেলেনি চিকিৎসা, কানাডার হাসপাতালে ভারতীয়র মৃত্যু

৮০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে গুদামে রাখার পরিকল্পনা ট্রাম্পের

চীনের ক্রমবর্ধমান সমরসজ্জার সামনে ‘অরক্ষিত’ যুক্তরাষ্ট্র

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

উ. কোরিয়ার এজেন্ট সন্দেহে ১৮০০-এর বেশি চাকরি আবেদন বাতিল করল আমাজন

গ্রিনল্যান্ড ‘আমাদের পেতেই হবে’, ‘অভিযান’ চালাতে দূত পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প

নিজ নামে ২ ‘সর্ববৃহৎ ব্যাটলশিপ’ নির্মাণ করছেন ট্রাম্প, সব মিলিয়ে ২৫টির পরিকল্পনা

ট্রাম্পকে তরুণদের ‘রোল মডেল’ বললেন এক সময়ের ঘোর বিরোধী নিকি মিনাজ

ধনী খদ্দেরদের জন্য কিশোরীদের যেভাবে বাছাই করতেন এপস্টেইন—উঠে এল এফবিআইয়ের তদন্তে