হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

ভোটের ফল পাল্টানোর ষড়যন্ত্র: ট্রাম্পের দায়মুক্তির আবেদন খারিজ

২০২০ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়মুক্তির আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর ফলে নজিরবিহীন এই মামলার বিচারের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালত এ রায় দেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

২০২০ সালের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল বদলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে মামলা হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাপ্তরিক দায়িত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত কারণ দেখিয়ে মামলার বিরুদ্ধে আপিল করেন ট্রাম্প।

গতকাল মঙ্গলবার ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া সার্কিটের ইউএস কোর্ট অব আপিলসের তিন বিচারকের প্যানেল ট্রাম্পের এ দাবি খারিজ করে দেন।

তাঁদের সর্বসম্মত রায়ে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ফৌজদারি অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে পারে এমন কোনো নির্বাহী দায়মুক্তি এখন আর তাঁকে বিচারের মুখে পড়া থেকে রক্ষা করবে না।

আদেশে বলা হয়, প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব চিরকালের জন্য কাউকে আইনের ঊর্ধ্বে রাখে—এমন দাবি গ্রহণযোগ্য নয়।

মার্কিন গণতন্ত্র ও ক্ষমতা হস্তান্তর বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগের বিচার এড়ানোর ট্রাম্পের উদ্যোগকে বিচারকরা একেবারেই গ্রাহ্য করেননি। তবে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের জন্য দৌড়ে থাকা ট্রাম্প এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছেন।

ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবিরের মুখপাত্র বলেন, মার্কিন প্রজাতন্ত্রের ভিত্তিকে হুমকির মুখে ফেলেছে এই রায়।

তাঁর মুখপাত্র স্টিভেন চুং এক বিবৃতিতে বলেন, সম্পূর্ণ দায়মুক্তি না পেলে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট সঠিকভাবে কাজ করতে পারবেন না!

রায়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্প আপিল করবেন বলে জানালেও প্রথমে ডিসি সার্কিট কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে রায় পর্যালোচনার আবেদন করবেন নাকি সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে যাবেন তা তিনি স্পষ্ট করেননি।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। ট্রাম্পকে আপিলের সুযোগ দিতে অন্তত সোমবার পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

মামলার যুক্তিতর্কের শুনানিতে ট্রাম্পের আইনজীবীরা দাবি করেন, সাবেক প্রেসিডেন্টরা ব্যাপক আইনি সুরক্ষার অধিকার রাখেন এবং কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে প্রথমে অভিশংসিত হওয়ার এবং পরে উচ্চ কক্ষ সিনেটে অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিচার করা যায় না।

প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পকে দুবার অভিশংসিত করা হলেও সিনেট থেকে তাতে সায় দেয়নি। প্রতিবারই রিপাবলিকান সদস্যরা একজোট হয়ে তাঁকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ভোট দিয়েছেন। কারণ, সেখানে তাদের আধিপত্য বেশি।

সমুদ্রে মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে প্রশ্নের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে ৪২ দেশের নাগরিকদের দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার ৫ বছরের রেকর্ড

ওর মুখ ও ঠোঁট সুন্দর, মেশিনগানের মতো—প্রেস সেক্রেটারি লেভিট সম্পর্কে ট্রাম্প

বড়দিনের আগেই চুক্তি চান ট্রাম্প, প্রস্তাব মানতে জেলেনস্কিকে আলটিমেটাম

চলতি বছর ৮৫ হাজারের বেশি অভিবাসীর ভিসা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন

ইউরোপ ‘ক্ষয়িষ্ণু’, ন্যাটো আমাকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে: ট্রাম্প

১০ কোটি ডলারের সরকারি বাড়িতে উঠছেন মামদানি

অভিবাসন ও সুবিধা বাড়িয়ে বিশ্বসেরা মেধাবীদের নিয়ে যেতে চায় কানাডা

শুল্ক ক্ষতি পোষাতে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকেরা ভর্তুকি পাচ্ছেন ১২ বিলিয়ন ডলার

ভারতের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি, এবার টার্গেট কৃষিপণ্য