সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। সোমবার তিনি মারা গেছেন বলে তাঁর পরিবার নিশ্চিত করেছে। তিনি করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছিলেন।
পাওয়েলকে 'প্রিয় বন্ধু' আখ্যা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, তিনি যোদ্ধা ও কূটনীতিক উভয় ক্ষেত্রেই আদর্শ।
তাঁর পরিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, 'আমরা একটি অসাধারণ এবং প্রেমময় স্বামী, বাবা, দাদা এবং একজন মহান আমেরিকানকে হারিয়েছি। ওয়াল্টার রিড মেডিকেল সেন্টারের কর্মীদের ধন্যবাদ, তাঁরা তাঁর চিকিৎসা খুব যত্ন নিয়ে করেছেন।'
এর আগে পাওয়েল একধরনের ব্লাড ক্যানসারে ভুগছিলেন। যেটা করোনাকে আরও প্রকট করে তুলেছিল। তিনি পারকিনসন্স রোগে ভুগছিলেন বলে মার্কিন গণমাধ্যম বলেছে।
২০০১ সালে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের অধীনে পাওয়েল প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান সেক্রেটারি অরব স্টেট হন। ইরাক যুদ্ধে সমর্থন আদায়ে জন্য তিনি বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন।
দেশটির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পান তিনি। পরে তিনি সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট মিখাইল এস গর্বাচেভের সঙ্গে সহযোগিতার এক অধ্যায়ের সূচনা এবং অস্ত্র চুক্তির আলোচনায় সহায়তা করেন।
উপসাগরীয় যুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট জয় পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান পাওয়েল। নব্বইয়ের দশকের মাঝের দিকে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের অন্যতম যোগ্য মনে করা হতো তাঁকে।