হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

যুক্তরাষ্ট্রের মতে, রাফাহে এখনো সীমা অতিক্রম করেনি ইসরায়েল

গাজা উপত্যকার দক্ষিণে রাফাহে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী পূর্ণ মাত্রার অভিযান চালায়নি বলে বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের। এমনটি বলেছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি। রাফাহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনী পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর এ মন্তব্য করলেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের সময় বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাফাহে আশ্রয় নিয়েছিলেন ফিলিস্তিনিরা। এখনো শহরটিতে অন্তত ১০ লাখ শরণার্থী আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি মাসেই বলেছিলেন যে, ইসরায়েল যদি রাফাহের প্রাণকেন্দ্রে প্রবেশ করে তবে ইসরায়েলে সামরিক সহায়তা কমিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

কিন্তু রাফাহে ঠিকই ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গত রোববার এক শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ৪৫ জন, যার মধ্যে বেশির ভাগই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। সেই হামলা সম্পর্কে ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছিল যে, তারা হামাসের দুই জ্যেষ্ঠ নেতাকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। সেখানে হামাসের গোলাবারুদে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

জন কারবিকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল এই হামলার বিষয়ে। হতাহতের ছবিগুলোকে ‘হৃদয়বিদারক’ ও ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করে কারবি বলেন, এই সংঘাতের ফলে কোনো নিরপরাধের প্রাণ হারানো উচিত নয়।

এই হামলা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পূর্বেনির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, ‘নীতিতে বলার মতো কোনো পরিবর্তন হয়নি। রাফাহে বড় মাত্রার স্থল অভিযানকে সমর্থন করি না এবং করব না। প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন যে, যদি এমনটি ঘটে, তবে তাঁকে ইসরায়েলকে সমর্থনের ক্ষেত্রে অন্যান্য সিদ্ধান্তও ভেবে দেখতে হবে।’

জন কারবি আরও বলেন, ‘তবে আমরা এই মুহূর্তে এমনটি ঘটতে দেখিনি। আমরা তাদের রাফাহ শহর বিধ্বস্ত করতে দেখিনি। বিপুলসংখ্যক সৈন্য নিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর বৃহৎ ইউনিটকে রাফাহে প্রবেশ এবং একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে সমন্বিত কৌশলে আক্রমণও করতে দেখিনি।’

গত ৮ মে সিএনএনকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছিলেন যে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ইসরায়েল যদি রাফাহে যায়, তবে যে অস্ত্র ঐতিহাসিকভাবে রাফাহে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তা তিনি সরবরাহ করবেন না।

সে সময় বাইডেন বলেছিলেন যে, তিনি অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করেননি। কারণ ইসরায়েল রাফাহের প্রাণকেন্দ্রে প্রবেশ করেনি এবং তাদের কার্যক্রম সীমান্তেই সীমাবদ্ধ ছিল।

সংঘাতে বেসামরিকদের হতাহতের ঘটনা কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিতে ইসরায়েলি সরকারের ওপর চাপ দেওয়ার জন্য জো বাইডেনের ওপরই চাপ বাড়ছে।

ডেমোক্রেটিক সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন গত জানুয়ারিতে গাজা সফর করেছিলেন। তিনি ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা এবং মানবিক বিপর্যয়ের গভীরতা স্পষ্ট করে দেয় যে, বাইডেন প্রশাসনের নেতানিয়াহু সরকারকে অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা বন্ধ করা উচিত, যতক্ষণ না আমরা জানি যে রাফাহ এবং মানবিক সহায়তার জরুরি সরবরাহসহ প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অনুরোধগুলোকে সম্মান করা হচ্ছে।’

গ্রিনল্যান্ড ‘আমাদের পেতেই হবে’, ‘অভিযান’ চালাতে দূত পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প

নিজ নামে ২ ‘সর্ববৃহৎ ব্যাটলশিপ’ নির্মাণ করছেন ট্রাম্প, সব মিলিয়ে ২৫টির পরিকল্পনা

ট্রাম্পকে তরুণদের ‘রোল মডেল’ বললেন এক সময়ের ঘোর বিরোধী নিকি মিনাজ

ধনী খদ্দেরদের জন্য কিশোরীদের যেভাবে বাছাই করতেন এপস্টেইন—উঠে এল এফবিআইয়ের তদন্তে

বিল ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

মার্কিন সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ট্রাম্পের ছবিসহ ১৬ এপস্টেইন নথি গায়েব

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার কথা ভাবছেন আতঙ্কিত শিক্ষকেরা

জনপ্রিয়তায় ধস: জাতির উদ্দেশে ভাষণে নিজের গুণগান আর সেনাদের খুশি রাখার কৌশলে ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার তেল আমাদের সম্পদ, বললেন ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী

মাস্ক ‘মাদকসেবী’, ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক’: হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ